বাংলাদেশে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী বছর সেখানে সাধারণ নির্বাচন। ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। ভোটের উত্তাপ আরও ছড়িয়ে দিতে এবার নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সংসদের তিনশো আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি । দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার বিকেলে এই নাম ঘোষণা করেন। ওবায়দুল কাদের ২৯৮ আসনে আওয়ামী লিগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ ও কুষ্টিয়া-২ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি তিনি। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী একাদশ সংসদে আওয়ামী লিগের এমপি ছিলেন এমন অন্তত ৭২ জন এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি।
রবিবার দিনের প্রথম ভাগে দলের সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে গণভবনে কথা বলেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগে কয়েক দফায় দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থী ঠিক করে আওয়ামী লিগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের মধ্যে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লিগ। মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লিগের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোট ৪ হাজার ৩৭ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে বাংলাদেশে। তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মধ্যে কমিশনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে হবে।
দলের সদস্যদের পাশাপাশি ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান তিনটি, অভিনেতা ফেরদৌস দুটি এবং অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি, সামসুন্নাহার সিমলা একটি করে আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে মাগুরা-১, ফেরদৌসকে ঢাকা-১০ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মাহি। প্রাক্তন ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন। এদিকে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে এবার সপ্তম বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারও আওয়ামী লিগ জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করবে বলে জানিয়েছে। তবে বিএনপি ও তার শরিক এবং একাধিক বিরোধী দলগুলো ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তে অটল। আওয়ামী লিগ এবারও জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। তবে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মহাজোট হবে কি না, সে বিষয়ে জানানো হয়নি। এবারও ২০১৪ সালের মতো জাতীয় পার্টিকে কিছু আসনে ছাড় দেওয়ার আলোচনা চলছে। তবে এ নিয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা হয়নি। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।