scorecardresearch
 

Hero Alom: সাংসদ হতে চান, ভোটে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিরো আলম

সামনেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশটিতে রাজনৈচিক উত্তাপ বাড়ছে। আর তার মাঝেই এবার রাজনৈতিক ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম।

Advertisement
বাংলাদেশের নির্বাচনী ময়দানে নামলেন হিরো আলম বাংলাদেশের নির্বাচনী ময়দানে নামলেন হিরো আলম
হাইলাইটস
  • হতে চান সাংসদ
  • বাংলাদেশের নির্বাচনী ময়দানে নামলেন হিরো আলম

সামনেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশটিতে রাজনৈচিক উত্তাপ বাড়ছে। আর তার মাঝেই এবার রাজনৈতিক ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম। বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর বগুড়ায় শূন্য ঘোষিত জাতীয় সংসদের দুটি আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে। আর এই দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। 

কখনও বেসুরো গান, কখনও অভিনয় আবার কখনও কবিতা পাঠ, নানা ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় থাকেন হিরো আলম। এবার ভোটে লড়তে চান তিনি। ভোটে লড়াই করার জন্য প্রার্থী হতে জাতীয় পার্টির কাছেও গিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু তাদের কাছে প্রত্যাখাত হয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। জাতীয় পার্টি তাঁকে ফিরিয়ে দিলেও জানিয়ে দেন, নির্দল হিসাবেই লড়াই করবেন। বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে দুটি আসনেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন  ইউটিউবার  হিরো আলম।  সোমবার দুপুরে তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেন বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন। 

 

মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহের পর  প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, তিনি এবার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তার বাড়ি বগুড়া সদরে হওয়ায় তিনি এলাকাবাসীর দাবিতেই এই আসনে ভোটে লড়বেন। এছাড়া বগুড়া-৪ আসনে তিনি একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলেই এবারো সেখান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।  হিরো আলম বলেন, বগুড়া সদর ও কাহালু-নন্দীগ্রামের ভোটাররা যাতে মনোক্ষুণ্ন না হন সেজন্যই তিনি দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আশা করেন, এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। দুটি আসনে জয়লাভ করলে কোন আসনে থাকবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম জানান, সব ভোটারের ভালোবাসা নিয়েই মাঠে নেমেছেন। জয়লাভের পর তিনি আসন রাখা বা ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। হিরো আলম আরও বলেন, প্রার্থীরা ভোটের আগে অনেক বড় বড় কথা বলে থাকেন; কিন্তু তিনি বড় বড় কথা বা অঙ্গীকার করতে চান না। ভোটে জিতলেই এলাকার কাজ করে দেখিয়ে দেবেন।  একই সঙ্গে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কমিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এই ইউটিউবার।

Advertisement

হিরো আলমের দাবি- তিনি সবসময় জনগণের জন্য সেবামূলক কাজ করে থাকেন, তাই জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এছাড়া তিনি নির্বাচনে পরাজিত হলেও মাঠ থেকে সরে যাবেন না। কারণ তার আরও নির্বাচন লড়ার বয়স রয়েছে। আর তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। কারণ চেষ্টা অব্যাহত রাখলে একদিন সুফল আসবেই। প্রসঙ্গত  হিরো আলম  ২০১৮ সালেও বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৩৮ ভোট পান। নির্বাচনে তাঁর জামানত জব্দ হয়। 

রাজনীতির ময়দানে নামতে চাওয়া হিরো আলম সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন বলেই জানা যায়।  আদতে বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা  হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় আসেন। এরপর নিজের অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও গান রেকর্ড করে  প্রচার করতে থাকেন।  এতে তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নে পরপর দুইবার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও ভাইরাল করেন। পরে ইউটিউবে এসব আপলোড করে আলোচনায় আসেন। 

Advertisement