জামাত-ই-ইসলামির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের উপর থেকেও ব্যান তুলে নিয়েছে সেই দেশের সরকার। এর আগে ওই দুই সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তার মাত্র মাস খানেকেরও কম সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। কারণ ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কোনও প্রমাণ মেলেনি।
অগাস্ট মাসের ১ তারিখে জামাত-ই-ইসলামির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় হাসিনা সরকার। তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলেও চিহ্নিত করা হয়। সেই সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কোটা বিরোধী যে আন্দোলন বাংলাদেশে চলছে তার পিছনে মদত রয়েছে জামাত-ই-ইসলামির।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোনও বিশেষ প্রমাণ না থাকায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর অধীনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে, জামাত ও তার সহযোগী ছাত্রশিবির কোনওরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিল না। বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিও তুলেছে কেউ কেউ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বুধবার সাংবাদিকদের বলেন,'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনও জোরালো প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনও দলকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করব। আওয়ামি লিগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে। তবে তারা গত ১৫ বছরে যা করেছে তা তাদের ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না।'
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, যে কেউ স্বাধীন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবে, এটাই গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য। তাঁর কথা, 'আমরা কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। যে কোনও দল বা যে কোনও ব্যক্তির স্বাধীন দল গঠনের অধিকার আছে। তবে তাদের অবশ্যই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকতে হবে। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাদের সমর্থন করা যাবে না।'