পুজোর মরসুমে কড়া সতর্কতা বাংলাদেশে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-সূত্রে খবর, পাশের দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কড়া সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষত আসন্ন দুর্গাপুজোর সময়ে। অস্থিরতা এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করেছে দেশটি। এবছর ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুজো। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই যেকোনও সাম্প্রদায়িক অশান্তির আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এএফএম খালিদ হোসেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমাতলী গৌরাঙ্গ বাড়ি কালীমন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছেন যে, পুজার সময়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি বলেন, "কেউ যদি মন্দিরে আক্রমণ করে বা লোকজনকে হয়রানি করার চেষ্টা করে, আমরা তাদের ছাড়ব না। শান্তি নিশ্চিত করতে আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব।"
সরকারি তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনগণ ও মাদ্রাসার ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। উপদেষ্টা হোসেন বলেন, "আপনারা যদি মন্দিরে হামলার আশঙ্কা করেন, তাহলে নিশ্চিত থাকুন, অপরাধীরা সফল হতে পারবে না।"
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বেশ কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছে। আগস্ট মাসে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে উপদেষ্টা হোসেন প্রশাসনকে পূজামণ্ডপের সুরক্ষার জন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হিন্দু গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্সের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বেড়েছে। ৪৮টি জেলায় ২৭৮টি স্থানে হুমকি ও হামলার অভিযোগ উঠেছে, যা "হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, কিন্তু এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ শতাংশে।