সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর খবরও এসেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায়। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ছে বাংলাদেশে। দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর আসছে। মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তারপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক বসেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।
সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার পর্যালোচনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর বিধিবলে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সিদ্ধান্ত হয়। তারপরই সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহিরাগতরাও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু সমাধানের জন্যও সরকারকে বার্তা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। গত সোমবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বাংলাদেশের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে অবরোধ শুরু করেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের উপরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সরকার-সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের সংঘর্ষ বেধেছে। কোথাও আবার পুলিশও জড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষে। একাধিক সংঘর্ষে ৬জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। মৃতদের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, রাজধানীতে দুজন ও রংপুরে একজন মারা গিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।