scorecardresearch
 

Sheikh Hasina: 'চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে,' বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে আশঙ্কা হাসিনার

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবে সেদেশে। তাদের অধীনেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখনও কয়েকমাস দেরি থাকলেও ইতিমধ্যে সেদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে হাওয়া গরম হচ্ছে। আর এর মাঝেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করাটা ‘চ্যালেঞ্জ’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement
দেশে নির্বাচনের আগেই আশঙ্কার সুর হাসিনার গলায় দেশে নির্বাচনের আগেই আশঙ্কার সুর হাসিনার গলায়


২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবে সেদেশে। তাদের অধীনেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  এখনও কয়েকমাস দেরি থাকলেও ইতিমধ্যে সেদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে হাওয়া গরম হচ্ছে। আর এর মাঝেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করাটা ‘চ্যালেঞ্জ’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামি লিগের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলেই মনে করেন দলের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নির্বাচনের জোরদার প্রস্তুতি নিতে তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (৫ জুন) ঢাকার গণভবনে আওয়ামি লিগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয়, তখনই এ দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়। আর কিছু লোক আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়। যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি, একাত্তরে গণহত্যা, লুটপাট ও নারী ধর্ষণ-নির্যাতন করেছে তারা এবং তাদের বংশধররা সারাক্ষণই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি, তাদের সঙ্গেই এদের সব আত্মীয়তা। এটাই হচ্ছে এ দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।

আরও পড়ুন

প্রধান বিরোধী দল বিনএনপিরও কড়া সমালোচনা করেছেন হাসিনা। ভোট কারচুপি বিএনপির অভ্যাস উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে গঠিত দলের কাছ থেকে আমাদের গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। ভোট চুরি করা তাদের অভ্যাস। তাহলে চোরদের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ কী শিখবে?’ আওয়ামি লিগ সভানেত্রী তাঁর দলের নেতা–কর্মীদের দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। দল যেন আরও শক্তিশালী হয়, আমাদের সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’  

Advertisement

নিজের সরকারের সাফল্য উল্লেখ করতে গিয়ে হাসিনা বলেন,  ২০০৮-এ সরকারে আসার পর, এই ১৪ বছরে একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই আজ বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব হয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে পেরেছি। আজ  ভিক্ষুকের জাতি বলে কেউ আর অবহেলা করতে পারবে না। এই জায়গাটা থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমাদের তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এটাকে আমাদের স্থায়ী করতে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বাইরে গেলে সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে আমাকে বলে আপনার ম্যাজিকটা কী? আমি বলি, ম্যাজিক কিছু নেই ওখানে। আমার শক্তিশালী সংগঠন আছে। আর আমাদের সংগঠনের শক্তিশালী নীতি আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, একটা পরিকল্পনা আছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে, জনগণকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি বলেই আমরা সাফল্য আনতে পেরেছি।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বলে সম্প্রতি বাংলাদেশিদের 'হুঁশিয়ারি' দেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এরপরই মুখ খোলে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে এবং যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
 

Advertisement