scorecardresearch
 

Hilsa Export: পুজোয় আসবে না পদ্মার ইলিশ? ভারতে মাছ পাঠানো রুখতে বাংলাদেশ সরকারকে আইনি নোটিশ আইনজীবীর

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই নোটিশ পাঠান।

Advertisement
 ভারতে মাছ রফতানি বন্ধে আইনি নোটিশ ভারতে মাছ রফতানি বন্ধে আইনি নোটিশ

অনেক টালবাহানার পর ভারতে দুর্গাপজো উপলক্ষে ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার।  বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফ থেকে শনিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, "উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রে প্রাপ্ত পত্রের প্রেক্ষিতে আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে বিভিন্ন রফতানিকারকদের আবেদনের ভিত্তিতে, নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হল ৷" এই বিজ্ঞপ্তিতে সই রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রকের উপসচিব সুলতানা আক্তারের ৷ আর এরমধ্যেই নতুন জটিলতা।  ইলিশ রফতানি স্থায়ীভাবে বন্ধে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের  বাণিজ্য মন্ত্রকের  সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানি  কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, ইলিশ মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ যখন সমুদ্র থেকে নদীতে বিশেষ করে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে আসে, তখন এই ইলিশ মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে । এই কারণে সামুদ্রিক ইলিশের চেয়ে পদ্মার ইলিশ অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রফতানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করে ও ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রফকানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয়।

আরও পড়ুন

Advertisement

আইনি নোটিশে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় যদি পদ্মার সব ইলিশ ভারতে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ এই পদ্মার ইলিশ খেতে পারবে না। এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত করে ভারতের জনগণকে পদ্মার ইলিশ খাওয়ানো সরকারের জন্য সমীচীন নয়। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র ভারত থেকে আমদানি করে থাকে কিন্তু ভারত সরকার কখনোই তার নিজের দেশের জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে বাংলাদেশে কোনো পণ্য রপ্তানি করে না। বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানি যোগ্য কোনো মাছ নয় । এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রর ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে। নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি  বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।
 

Advertisement