করোনা সংক্রমণের কারণে চলতি বছর মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না বাংলাদেশে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে। প্রতি সপ্তাহে এই অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া ও জমা নেওয়া হবে। বুধবার অনলাইন সংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানানেলন দেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সংবাদিক সম্মেলনে দীপু মনি বলেন, “এবারের যে পরিস্থিতি, তাতে কোনো পরীক্ষা নয়। এবার কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।” তবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনের ঘাটতি পূরণের জন্য ৩০টি কর্মদিবসে শেষ করা যায় এমন একটি সিলেবাস এনসিটিবি প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই সিলেবাসে অনুসারে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে একটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। সেই অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী ক্লাসে তা পূরণের চেষ্টা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই পাঠ্যসূচি দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছেও তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রসঙ্গেই দীপু মনি জানান এবার পরীক্ষা ছাড়াই সবাই ওপরের ক্লাসে যাচ্ছে।
সম্প্রতি হাসিনা সরকার করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। তার আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি ও জেডিসির পরীক্ষা বাতিল করে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রক।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাসিনা প্রশাসন। করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ দিতে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৮০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৬। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭ হাজার ১৪১ জন।