আরও একবার নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম। আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন। আর সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান হিরো আলম। ১৫ মে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকাই নায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার শূন্য আসনেই এবার নির্বাচন হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৮ জুন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৬ জুন। এরপর ১৭ জুলাই হবে ভোট গ্রহণ।
এই নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন হিরো আলম। আগামী ১৩ জুন তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। অবশ্য নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা তার এর আগেও রয়েছে আলমের। বগুড়ার দুটি আসনে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। হিরো আলম যে আসনে লড়তে চান, সে আসনে এরই মধ্যে নাম এসেছে ঢালিউড নায়ক আলমগীর, ফেরদৌস ও অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের। হিরো আলম বলেন, আমি মিডিয়া কর্মী। নায়ক ফারুকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমবেদনা আছে। আমি তাঁর এলাকায় ঘুরে দেখেছি, এখনও অনেক কাজ বাকি। আসনের মেয়াদ আছে পাঁচ মাস। এই সময়ের মধ্যে নায়ক ফারুকের হয়ে কিছু কাজ করতে পারলে নিজেরও ভালো লাগবে। হিরো আলমের কথায়, 'ডিশ আলম, সিডি আলম থেকে আমি আজ হিরো আলম হয়েছি। খুবই প্রান্তিক আর নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আমার উঠে আসা। গরিবের কল্যাণে কখনো কাউকে কাজ করতে দেখিনি। এখন পর্যন্ত কোনো নেতা গরিবের নেতা হতে পারেননি। আমি গরিব মানুষের জন্য কাজ করতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।'
গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৬ আসনে অনেক ভোটে হারলেও বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লিগ সমর্থিত প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন। তবে গতবার যতই পরাজিত হন না কেন সে কথা মানতে নারাজ হিরো আলম। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমি জিতেছিলাম কিন্তু আমায় তখন জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ছিলাম তখন। আমি এবার তাই প্রমাণ করতে চাই যে আমার সঙ্গে তখন যেটা করা হয়েছিল সেটা আসলে ভুল।'