ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। আর এই আবহে গত কয়েকদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে কলকাতা ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবারও মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলের তরফে জানান হয়েছে, বাতিল হওয়া ট্রেনের ভাড়ার অর্থ সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হবে।
রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, পরিচালন গত কারণে, ১৩১০৮ কলকাতা - ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১০৭ ঢাকা - কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং ১৩১০৯ কলকাতা - ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস নিম্নোক্ত তারিখ গুলিতে একটি করে ট্রিপ বাতিল থাকবে। ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে ২২/৭/২০২৪ তারিখে ছাড়ার কথা ছিল, ১৩১০৭ ঢাকা- কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ২৩/৭/ ২০২৪ তারিখে ছাড়ার কথা ছিল এবং ১৩১০৯ কলকাতা -ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে ২৩/৭/২০২৪ তারিখে ছাড়ার কথা ছিল, সেগুলি উপরিউক্ত দিনগুলিতে বাতিল থাকবে। সেইসঙ্গে যাত্রীদের ভাড়ার অর্থও ফেরত দেওয়ার কথা জানান হয়েছে।
রেলের তরফে জানান হয়েছে নিম্নোক্ত শর্তাবলী সাপেক্ষে বাতিল ট্রেনের ভাড়ার সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে-
১. কলকাতা শহরের সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত শুধুমাত্র কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টার গুলিতেই প্রদান করা হবে।
২. হারানো/মিসপ্লেসড টিকিটের কোনো অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না।
৩. বিদেশি পর্যটকদের কাউন্টারে পিআরএসের কার্যক্রমের সময়ের মধ্যেই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। টিডিআর ইস্যু করা হবে না।
সেইসঙ্গে যাত্রীদের অসুবিধার জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে রেল। এদিকে , মুক্তিযোদ্ধা সংরক্ষণ মামলায় রবিবার রায় দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং পড়ুয়াদের ক্লাসে ফিরে যেতে আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া আগের রায়কে খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কার হবে। সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনিসুর জানিয়েছেন যে অত্যন্ত বিচক্ষণ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের ভিত্তিতে যতটা দ্রুত সম্ভব সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারের আইনমন্ত্রী। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সোমবার ছুটি আছে। সেই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের আগে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না। তবে সেদিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে কিনা, সে বিষয়ে জানাননি তিনি। এমনিতে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। যে দ্রুততা যথেষ্ট বিরল বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। ইতিমধ্যে সরকারের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রায়ের কপি। তবে আন্দোলনকারীরা এই রায়কে স্বাগত জানালেও এখন আন্দোলন থেকে সরে আসার ভাবনা নেই বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। ‘বিবিসি বাংলা’ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।