হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে অশান্ত বাংলাদেশ। ওপার বাংলায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ। হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দেশে শতাধিক দুষ্কৃতী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোর করা হল। নিরাপত্তা বাড়াল বিএসএফ।
সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা যাতে কোনওভাবে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর হয়েছে বিএসএফ। মুর্শিদাবাদের রাজানগর, কাকমারী, জলঙ্গী, রানিনগর সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অর্থাৎ লাইন অফ আ্যকচুয়াল কন্ট্রোলে শুক্রবার থেকে বিএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা।
সীমান্ত এলাকায় বানানো হচ্ছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। শুক্রবার বিএসএফের বহরমপুর সেক্টরের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকেরা সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনে যান। মূলত সীমান্ত এলাকার চরের কৃষি জমিতে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তদের হানা ও অনুপ্রবেশ রুখতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বিএসএফের বহরমপুর সেক্টরের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা।
অন্য দিকে, বাংলাদেশের পাকিস্তান-প্রীতি মনোভাব প্রকাশ্যে এল। যা ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানকে নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেদেশে ভিসা নিয়ে যেতে পাক নাগরিকদের আর কঠোর নিয়মকানুনের মুখোমুখি হতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের ভিসা পেতে গেলে পাক নাগরিকদের নিরাপত্তার ছাড়পত্রের প্রয়োজন হত। এবার থেকে তা আর লাগবে না। অর্থাৎ, পাক নাগরিকদের ভিসার নিয়মে শিথিল করল ইউনূস সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
সংবাদদাতা- গোপাল ঠাকুর