scorecardresearch
 

Bangladeshi Hilsa: ভরা মরশুমেও পদ্মা-মেঘনায় দেখা নেই, হঠাৎ কী হলো বাংলাদেশি ইলিশের?

বাংলাদেশে এবার ভরা মরশুমেও পদ্মা-মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তুলনামূলক দামও অনেক বেশি। দিনে ও রাতে নদীতে চষে বেড়ালেও জ্বালানি খরচ উঠছে না জেলেদের। স্থানীয় রূপালী ইলিশের আমদানি না থাকায় নদী উপকূলীয় অধিকাংশ আড়তের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement
এপারে কবে মিলবে বাংলাদেশি ইলিশ? এপারে কবে মিলবে বাংলাদেশি ইলিশ?

দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। আর মরশুমের শুরুতেই ভোজন রসিক বাঙালির জন্য রয়েছে দারুণ খবর। সম্প্রতি  ৩ টন ইলিশ মাছ নিয়ে সমুদ্র থেকে ফিরলেন মৎস্যজীবীরা। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজারে ঢুকেছে এই মাছ।

গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে এতদিন ফিরে আসতে হচ্ছিল খালি ট্রলার নিয়ে। একদিকে আবহাওয়া খারাপ, অন্যদিকে ইলিশের পরিবেশ তৈরি হয়নি। ফলে লক্ষ টাকা খরচ করে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে নামখানা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার সহ প্রায় ৩ হাজারের বেশি ট্রলারকে।  গত ২ মাস বন্ধ ছিল ইলিশ মাছ ধরা। সরকারি সময়সীমা উঠে যাওয়ার পরই গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। ১৫ জুন সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেই নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ড হারবার থেকে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা।   দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সম্প্রতি মরশুমের প্রথম ইলিশের দেখা মিলেছে ডায়মন্ড হারবারে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে না ঢুকতেই ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে ঢুকেছে তিন হাজার কেজি ইলিশ। যা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা প্রতি কেজি হিসাবে। ফলে মাছে ভাতে বাঙালির পাতে যে এ বার এই মরশুমের প্রথম ইলিশ পড়তে চলেছে, তা ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু ইলিশ বলতেই আম বাঙালির কাছে ভেসে ওঠে সমুদ্র নয় বরং পদ্মার ইলিশ। ওপার বাংলার সেই পদ্মর ইলিশের কী হাল চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পদ্মা-মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ
বাংলাদেশে এবার ভরা মরশুমেও পদ্মা-মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তুলনামূলক দামও অনেক বেশি। দিনে ও রাতে নদীতে চষে বেড়ালেও জ্বালানি খরচ উঠছে না জেলেদের। স্থানীয় রূপালী ইলিশের আমদানি না থাকায় নদী উপকূলীয় অধিকাংশ আড়তের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ দিকে এক শ্রেণির লোক অনলাইনে ইলিশ বিক্রি করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে চাঁদপুরের সুনাম নষ্ট করছেন বলেও জানাচ্ছেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন

Advertisement

কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ মৎস্য আড়ৎ বড় স্টেশন মাছ ঘাটে এ সময় আগে যেখানে ইলিশ মাছ আমদানি হতো ৫০০-৬০০ মণ, সেখানে এবার আমদানি হচ্ছে ৭-৮ মণ ইলিশ। এতে করে চাঁদপুরের চাহিদাই মেটাতে পারছেন না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তার ওপর দামও বেশি। নদীর নাব্যতা, নদীর জল  দূষণ ও অভিযানের সময় কারেন্ট জাল দিয়ে প্রচুর পরিমাণ জাটকা ধরার কারণে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলাদেশের মৎস্য বিভাগ বলছে, আর কিছুদিন পর ভরা মরশুম শুরু হবে। তখন পুরোদমে ইলিশ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।   

হঠাৎ কী হলো ইলিশের?
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মানিক জমাদার বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটসহ নানা কারণে নদীতে ইলিশের বিচরণ কম। এসব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না এলে ইলিশের প্রাপ্যতা কমতে থাকবে। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলামের বক্তব্য, সদরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে আমরা বছর জুড়ে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছি। বিশেষ করে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় আমরা জেলেদের সচেতন করে আসছি। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সফল হয়েছে। আগামী মরশুমে জেলেরা এটির সুফল পাবে। তারপরেও নদীতে চর জেগে ওঠা, নদীর জল দূষণ ও ইলিশের খাদ্য হ্রাস পাওয়ায় মিঠা জলে ইলিশের বিচরণ কম। তবে ভরা মরশুমে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 

Advertisement