scorecardresearch
 

Bangladesh Onion Price: রফতানিতে ভারতের শুল্ক আরোপের জের, হাসিনার দেশে সেঞ্চুরি পার পেঁয়াজের

ভারত পেঁয়াজের উপরে রফতানি শুল্ক চাপানোয় বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। প্রতিবেশী দেশটিতে ক্রমেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

Advertisement
 ঢাকার খুচরো বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা হয়েছে ঢাকার খুচরো বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা হয়েছে

টমেটোর পর এবার ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার ইঙ্গিতের মধ্যে, মোদী সরকার তার রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ যোগান বাড়াতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই প্রথম পেঁয়াজ রফতানিতে  শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। 

অর্থ মন্ত্রক একটি শুল্ক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রফতানি  আরোপ করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থিক বছরে ১ এপ্রিল থেকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত দেশ থেকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে। মূল্যের দিক থেকে শীর্ষ তিনটি আমদানিকারক দেশ হলো বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। পেঁয়াজ রফতানি রোধে সরকার সর্বদা ন্যূনতম রফতানি মূল্যের হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। ভারত পেঁয়াজের উপরে রফতানি শুল্ক চাপানোয় বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। প্রতিবেশী দেশটিতে ক্রমেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার খুচরো বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা হয়েছে,  যা রবিবারও ছিল ৮৫ টাকা। একইভাবে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাড্ডা, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজার সর্বত্র একই চিত্র চোখে পড়ছে।

আরও পড়ুন

ঢাকায় দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি বেড়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। আর, আমদানি করা হাইব্রিড পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে। সোমবার ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। গত শনিবার এই জাতের পেঁয়াজের দাম ছিলো  ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা। প্রসঙ্গত গত  ১৯ অগাস্ট ভারত নিজস্ব মজুত বাড়ানোর লক্ষ্যে, পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। 

Advertisement

বাংলাদেশেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার বলেছেন, “পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভারতের পেঁয়াজ রফতানি শুল্ক বাড়ানো দুঃখজনক। ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি, পেঁয়াজের বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করবে বাংলাদেশ।” প্রসঙ্গত পেঁয়াজের ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশ আমদানি করে ভারত থেকে। দিল্লি শুল্ক বাড়ানোয় তাই বিকল্প হিসাবে হাসিনা  সরকার ই মিশর, তুরস্ক ও চিন থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে। এমনিতেই বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম মাত্রাছাড়া হয়েছে। বিরোধীরা এই নিয়ে সরকারকে বিঁধছে। গত বছরও দিল্লি পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ভয়ানক বিপাকে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবারও মোদী সরকার পেঁয়াজের দামে শুল্ক আরোপ করায় সাধারণ নির্বাচনের আগে বিপাকে হাসিনা সরকার।


 

Advertisement