Bengali Man Was Beaten In Bangladesh: বাংলাদেশের ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার বেলঘরিয়ার সোনার বাংলা এলাকার যুবক সায়ন ঘোষ। ২২ বছর বয়সী যুবক সায়নের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাতেই চোখে, মাথায়, দাঁতে মারাত্মকভাবে আহত হন সায়ন। কেবলমাত্র হিন্দু এবং ভারতীয় পরিচয় জানার পরে তারপর এই হামলা করা হয়। শনিবার রাতে গেদে-দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাড়িতে ফিরে এলেও আতঙ্ক তার চোখে মুখে।
গত ২৩ নভেম্বর গেদে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ যান। ২৬ তারিখ রাতে বাস ধরে বেলঘরিয়ার বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু বন্ধুর অনুরোধে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বন্ধুর সাথেই বাড়ির বাইরে বের হন সায়ন। তাতেই যত বিপত্তি। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এই হামলার মুখে পড়েন সায়ন। সায়নকে বাঁচাতে গিয়ে তার বন্ধুও আহত হন।
অভিযোগ এরপর স্থানীয় প্রশাসন কিংবা হাসপাতালে গেলেও প্রয়োজনীয় সহায়তা পাননি। উল্টে তার পরিচয়, তার বাংলাদেশ সফর নিয়ে নানা মুখ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এমনকি রক্তাক্ত অবস্থায় চার ঘন্টা ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে থাকেন সায়ন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান সায়ন। কিছুটা সুস্থ হয়েই গতকাল বাড়ি ফিরে আসেন।
রবিবার সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শোনান তিনি।
শুধু মারধরই নয়, মোবাইল-টাকা কেড়ে নিয়ে ছুরি দিয়ে ইট পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় সায়নের উপর। এরপরই গুরুতর জখম অবস্থায় সায়ন কোনওমতে ডাক্তার দেখিয়ে বন্ধুর বাড়িতে আসে। সায়ন এবং তাঁর বন্ধু পুলিসের কাছে গেলেও বাংলাদেশের পুলিস কোনও সাহায্যই তাদের করেনি বলেই তারা জানায়। এরপরে বাংলাদেশের মুসলিমরা ভয় দেখায় কোথাও বেশি জানাজানি হলে বা অভিযোগ দায়ের হলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এরপরেই আতঙ্কে ভয়ে পালিয়ে এসে অনেক কষ্ট করে গেদে সীমান্ত থেকে চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বাড়ি ফিরেছে কেটে গিয়েছে কয়েক ঘন্টা। কিন্তু তার চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। সুকান্ত ঘোষ বলেন, ‘আমি ওকে বাংলাদেশে যেতে নিষেধ করেছিলাম। আমরা ওকে নিয়ে খুব আতঙ্কে রয়েছি। ছেলে ভয়ে কিছু বলেনি প্রথমে। পরে সংবাদ মাধ্যম দেখে জানতে পারি।’