scorecardresearch
 

ঢাকায় সহজেই ঢুকবে ISI, ভারতের বিরুদ্ধে কী চক্রান্ত করছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ?

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা নিয়মে শিথিলতা এনেছে, যা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কার্যকলাপ বাংলাদেশে আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে, যা ভারতীয় নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

Advertisement
বাংলাদেশে অস্থিরতা।-ফাইল ছবি বাংলাদেশে অস্থিরতা।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা নিয়মে শিথিলতা এনেছে, যা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
  • পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কার্যকলাপ বাংলাদেশে আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে, যা ভারতীয় নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা নিয়মে শিথিলতা এনেছে, যা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কার্যকলাপ বাংলাদেশে আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে, যা ভারতীয় নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

ভিসা নিয়ম শিথিলতার প্রভাব
বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পাওয়ার জন্য নিরাপত্তা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে দিয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে এবং সেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালানোর সুযোগ বাড়বে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অজয় রায়নার মতে, এই পরিবর্তনগুলি বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের ইঙ্গিত দেয়।

বাংলাদেশে মৌলবাদী কার্যকলাপের বিস্তার
পাকিস্তান সমর্থিত মৌলবাদী সংগঠন জামায়াত ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি শক্তিশালী করেছে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তাদের তৎপরতা বেড়েছে। সিলেটের আম্বরখানা এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে অনুপ্রবেশের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন

ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্ত সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অত্যন্ত সংবেদনশীল। গোয়েন্দা সূত্রের মতে, এই অঞ্চলে মৌলবাদী উপাদানের উপস্থিতি ও কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারি কাঠামোতেও মৌলবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যা ভারতের কৌশলগত নিরাপত্তার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য দ্বিগুণ হুমকি তৈরি করছে: গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে উন্নতি: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ার ফলে ভারতের বিরুদ্ধে একত্রে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে।
সীমান্তে অস্থিরতা: ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অনুপ্রবেশ বাড়বে। মৌলবাদী উপাদানের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এই অঞ্চলে সামাজিক মেরুকরণ ও অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।
সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি: সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার, এবং সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতা আরও তীব্র হতে পারে।
ভারতের কৌশলগত উদ্যোগ
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতকে এখন যৌথভাবে কূটনীতি, সামরিক শক্তি, এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে।

Advertisement

কূটনৈতিক উদ্যোগ: বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক মজবুত করা প্রয়োজন।
সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার: সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি: পাকিস্তান-বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে হবে।
বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তির উত্থান ও পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ভারতের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, তাই আগে থেকেই সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

 

TAGS:
Advertisement