Bangladesh Protest: কোটা ব্যবস্থার অবসান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগ দাবি করে নতুন রক্তাক্ত বাংলাদেশ। মৃত্যুমিছিলে বাদ নেই পুলিশও। একই থানায় ১৪ জন পুলিশকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১০০। যদিও বেসরকারি হিসেবে আরও বেশি হতে পারে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহ। আজ থেকে টানা ৩ দিন গোটা বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। সব ছুটি।
ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের হেল্পলাইন নম্বর
বাংলাদেশে হিংসায় আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের জন্য হেল্পলাইন চালু করেছে দিল্লি। কোনও রকম বিপদে পড়লে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এমার্জেন্সি নম্বর জারি করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল, +8801958383679, +8801958383680 ও +8801937400591।
বাংলাদেশজুড়ে টানা ৩ দিন কার্ফু
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কার্ফু জারি থাকবে। ঢাকা সহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনকে ঘিরে হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে গত ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কার্ফু জারি করেছিল হাসিনা সরকার। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় শিথিল থাকলেও ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ বহাল রয়েছে। সব সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে যেমন বিদ্যুৎ, জল, গ্যাস, অন্যান্য জ্বালানি, দমকল, হাসপাতাল, বন্দর, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পোস্টঅফিস সহ জরুরি পরিষেবাগুলি কার্ফুর আওতার বাইরে থাকছে।
আওয়ামি লিগের নেতারা ঘরছাড়া
এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে ১১ হাজারের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে রবিবার একই থানায় ১৪ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে হিংসায়। প্রায় ৩০০ পুলিশকর্মী আহত। আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা চলছে। অনেক নেতাই ঘরছাড়া। পালিয়ে গিয়েছেন পরিবারকে নিয়ে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ।
আন্দোলকারী ছাত্রদের জঙ্গি আখ্যা হাসিনার
এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধিতার নামে হিংসা ছড়ানো তথাকথিত ছাত্রদের জঙ্গি আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, 'আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেবেন না।' অন্যদিকে আন্দোলকারীরাও কর না দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে।