শান্তিতে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় 'উৎকণ্ঠা' প্রকাশ করেছেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে শিক্ষা ও শিশু অধিকার সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে জড়িত তিনি। এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলে, তিনি জানান, "মানুষের মধ্যে আস্থা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির"-কে তিনি সবসময় গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং ধর্মীয় স্থান ভাঙচুরের ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। "তাঁদের মৌলিক অধিকার অবরুদ্ধ", বলে দাবি করেছেন কৈলাশ সত্যার্থী।
তিনি বলেন, এই সমস্যাটির সমাধান করা দরকার, অন্যথায় "এর পরিণতি বাংলাদেশের বাইরেও বাড়বে, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলবে।" সত্যার্থী আরও বলেন, "সংখ্যালঘুদের দমন এবং যে কোনও জায়গায় মানবাধিকার লঙ্ঘন মানুষের বিবেকের উপর আক্রমণ হচ্ছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে আক্রমণ বিশেষ করে মন্দিরে হামলার ঘটনায় মানুষ ভয়ভীত।"
#WATCH | Delhi: On attacks on minorities and vandalism of temples in Bangladesh, Nobel Peace Laureate Kailash Satyarthi says, "As today is the Human Rights Day, let us reaffirm our shared commitment to safeguarding universal rights that define our humanity, the right to freedom,… pic.twitter.com/9ns6BfOxSs
— ANI (@ANI) December 10, 2024
নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে "অবিলম্বে পরিস্থিতি মোকাবিলার করুন" এই বার্তা দেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশে উগ্রবাদীরা হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর একাধিক হামলা করেছে। সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়িতে আগুন লাগানো, লুটপাট, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ভারত ২৬ নভেম্বর গভীর উদ্বেগ জানিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার এবং জামিন অস্বীকারের বিষয়টি উল্লেখ করেছে, যিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্রও।
ঢাকার উপকণ্ঠে বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে উত্তর ঢাকার ধোর গ্রামের মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে হামলা হয়। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক বাবুল ঘোষ জানান, তাঁর পৈতৃক মন্দির পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাড়িতে না থাকা অবস্থায় হামলাকারীরা প্রতিমাতে পেট্রোল ঢেলে দেয়।
ইতিমধ্যে, ভারত-বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে হিন্দু এবং সমস্ত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার সহ।