BNP on Sheikh Hasina: শেখ হাসিনা ভারতে থাকলে ভালো চোখে দেখবে না বলে দাবি খালেদা জিয়ার দল বিএনপির। বিরোধীরা আরও বলে, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে হাসিনার ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত তাঁর এবং ভারত সরকারের। দলের একজন নেতাও বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এটাকে ভালো মনে করবে না। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভবিষ্যতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনগণের অনুভূতি গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। হিংসা বিক্ষোভের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করতে কাজ করবে বলে দাবি করেন ইউনুস। দেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংস অত্যাচার বন্ধ করবে। ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে নিশ্চিত করে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে 'মোস্ট ওয়ান্টেড'
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগের সম্মুখীন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। তিনি বলেন, "হাসিনাকে তাঁর শাসনকালে অপরাধের জন্য অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।"
'হাসিনার ভারতে থাকাকে জনগণ ঠিক মনে করবে না'
বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিবেশী দেশে থাকতে পারবেন কি না সেটা শেখ হাসিনা ও ভারত সরকারের বিষয়। "তবুও, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে যে ভারতের উচিত তাদের অনুভূতি বিবেচনা করা। কারণ দিন শেষে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক নির্ভর করে দুই ব্যক্তির সম্পর্কের ওপর, কোনও দেশ ও ব্যক্তি বা কোনও অঞ্চলের মধ্যে নয়।” হাসিনার বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এটা বিবেচনা করছে ভারতকে (বাস করার জন্য) অনুকূলভাবে দেখা হবে না।"
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করে খালেদা জিয়ার বিএনপি এর আগে নির্বাচন বয়কট করেছিল। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আশা প্রকাশ করেন যে, হাসিনার শাসনামলের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে।