scorecardresearch
 

Hasina slams Muhammad Yunus: 'ইউনূস বাংলাদেশে গণহত্যার মূল কারিগর', নিউইয়র্কের অনুষ্ঠানে কড়া আক্রমণ হাসিনার

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নিপীড়নের অভিযোগে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছেন। নিউইয়র্কে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়, হাসিনা কার্যত ইউনূসকে "গণহত্যা" করার এবং হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন। নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে 'গণহত্যা' এবং হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন।

Advertisement
ইউনূস হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী- হাসিনা ইউনূস হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী- হাসিনা


বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নিপীড়নের অভিযোগে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছেন।  নিউইয়র্কে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়, হাসিনা  কার্যত ইউনূসকে "গণহত্যা" করার এবং হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন।  নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে 'গণহত্যা' এবং হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন।

শেখ হাসিনা দাবি করেন, ১৯৭৫ সালে তার বাবা শেখ মুজিবুর র রহমানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সেভাবেই তাকে এবং তার বোন শেখ রেহানাকে ৫ অগাস্ট হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ইউনূস ক্ষমতার ক্ষুধার্ত, সে কারণে তিনি হামলার হাত থেকে উপাসনালয়গুলোকে বাঁচাতে পারছেন না।

ইউনূস হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী- হাসিনা
অগাস্টে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এটাই ছিল হাসিনার প্রথম জনসাধারণের সামনে ভাষণ। ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের গণভবনের দিকে পাঠানো হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে অনেক মানুষ প্রাণ হারাতে পারত। এটি ২৫-৩০  মিনিটের ব্যাপার ছিল, এবং আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল, আমি তাদের (রক্ষীদের) বলেছিলাম যে যাই হোক না কেন গুলি না চালাতে।"

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনা বলেন, "আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। আসলে ইউনূস খুব ভেবেচিন্তে গণহত্যা করেছেন। এই গণহত্যার মূল হোতা ছাত্র সমন্বয়ক ও ইউনূস। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- কেউ রক্ষা পাচ্ছে না।  এগারোটি গির্জা, মন্দির  ও বৌদ্ধ তীর্থাস্থানে  হামলা চালান হয়েছে। ইসকন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"

হিংসা  বন্ধ করতে আমি বাংলাদেশ ছেড়েছি
ইসকনের পূজারি  চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কেন সংখ্যালঘুরা এই নৃশংসতার শিকার হচ্ছে? কেন তারা নির্মমভাবে নির্যাতিত ও হামলার শিকার হচ্ছে? মানুষের আর বিচার পাওয়ার অধিকার নেই। আমাকে পদত্যাগ করার সময় দেওয়া হয়নি।" হাসিনা বলেন, সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে তিনি অগাস্টে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন, কিন্তু তা হয়নি।

Advertisement

জুলাই ও অগাস্টে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসেন হাসিনা। বাংলাদেশের 'বিজয় দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা অভিযোগ করেন যে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যখন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে
আসলে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ভারত গত সপ্তাহে বলেছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করা। বিদেশ মন্ত্রকও আশা প্রকাশ করেছে যে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার চিন্ময় দাসের মামলাটি  স্বচ্ছভাবে মোকাবেলা করা হবে।

শুক্রবার  সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য তার দায়িত্ব পালন করা উচিত।" তিনি বলেন, "উগ্রপন্থী বক্তব্যের বৃদ্ধি, হিংসা ও উসকানির ঘটনা বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই ঘটনাগুলিকে শুধুমাত্র মিডিয়ার অতিরঞ্জন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আমরা আবারও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাই। সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। 

Advertisement