চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং জাহাজ ডুবির ঘটনায় ভেসে উঠছে একের পর এক দেহ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে জাহাজের ক্যাপ্টেনও রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে তোলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে এফভি মাগফেরাত নামে ফিশিং জাহাজ কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়। ওই জাহাজে মোট ২১ জন নাবিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি সাতজন ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীর একাধিক স্থানে চারজনের দেশ ভেসে উঠতে দেখা যায়। জাহাজের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আবদুল্লাহ সহ আরও তিনজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন, মহম্মদ জহিরুল ইসলাম, মহম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং রহমত আলী। দুর্ঘটনার পর বুধবার রাতে জাহাজের ডুবুরি মহঃ ফয়সাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জাহাজটির মালিক সংস্থা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত পুজোর আগে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। মহালয়ার দিন হিন্দু পুণ্যার্থী বোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের বড় দুর্ঘটনা বাংলাদেশের নদী বক্ষে।