সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তার মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ওপার বাংলায়। শনিবার ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কুমিল্লায় পড়ুয়াদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে দাবি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার থেকে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সে দেশে। নতুন করে গোলমালের ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অশান্তি ঘটনা রুখতে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাঁদের কথা শুনতে চাই। সংঘাত চাই না।'যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হাসিনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনার জেরে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অশান্তির জেরে বাংলাদেশে কার্ফু জারি করে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশে চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ করতে হবে, এই নিয়ে রায় দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায় মেনে কোটা সংস্কার কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
বাংলাদেশের ঘটনা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছে নয়া দিল্লি।অন্যদিকে, বাংলাদেশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে মোদী সরকারকে নোট পাঠায় শেখ হাসিনার সরকার।