আজ দশমী। মায়ের কৈলাসে ফিরে যাওয়ার দিন। বিষাদের সুর আকাশে , বাতাসে। আর তার মাঝেই বাংলাদেশের এক পুজো মণ্ডপে ঘটে গেল হাড় হিম করা ঘটনা। দুর্গা মন্দিরে খুন হলেন এক রাজনৈতিক কর্মী। ঘটনাস্থল বগুড়া। সেখানে মন্দিরের ভেতরে সুব্রত ওরফে সম্রাট দাস নামের এক যুবলীগ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাত ১টা নাগাদ বগুড়ার শহরতলীর সাবগ্রাম হাট দুর্গা মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যাচ্ছে, বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সম্রাট। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ব্যবসায়ীক বিরোধের কারণেই এই খুন। রবিবার রাত ১টা নাগাদ সম্রাট প্রতিমা দর্শন করতে মন্দিরে যান। সেখান থেকে বেরোতেই ৪ দুষ্কৃতী তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার্থে সম্রাট মন্দির চত্বরে একটি টিনের ঘরে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কুপিয়ে খুন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্রাটের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক অভিযোগে মামলা চলছিল। সম্প্রতি বালি ব্যবসা নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ বাধে। তার জেড়ে ৩ মাস হল ঘরছাড়া ছিলেন এই যুবক। সম্রাটের বড় ভাই জুয়েল দাসের বিরুদ্ধেও পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। রবিবার রাতে বাব-মার সঙ্গে দেখা করতে গোপনে বাড়ি ফেরে সম্রাট। বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষে মন্দিরে গেছিলেন প্রতিমা দর্শনে। কিন্তু প্রতিপক্ষের কাছে তাঁর বাড়িতে আসার খবর আগেই পৌঁছেছিল। তাই মন্দির থেকে সম্রাট বের হতেই তার ওপর হামলা চালিয়ে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানা ওসি হুমায়ুন কবির জানান, নিহত সম্রাটের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, বেআইনি অস্ত্র সহ ৫টি মামলা চলছিল। সম্রাটের খুনিদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পরিস্থতি সামলাতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।