চাঁচাছোলা কথা বলতে কখনও পিছুপা হন না অভিনেতা জিতু কমল। বামপন্থী হিসাবে পরিচিত হলেও গত ৮ অগাস্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর জিতু সোশ্যাল মিডিয়া ঘোষণা করেন যে তিনি সিপিআইএম ছাড়ছেন। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছিলেন যে তিনি বামপন্থী নয় তিনি বুদ্ধপন্থী। সেই মানুষটাই যখন আর রইলেন না তখন দলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত অভিনেতা। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শাসক দলের বিরোধিতা করতেও পিছু পা হননি জিতু। গলা উঠিয়ে বার বার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন অভিনেতা। রবিবার নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে মহামিছিল নিয়ে জিতু কমল বামপন্থীদেরই নিশানা করলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
রবিবারের মিছিলের আয়োজকরা বারবার একটাই দাবি জানিয়েছিলেন যে এ প্রতিবাদ সাধারণের। বড় বড় ব্যানারে লেখা ছিল, ‘রাজার নীতি ভুল হয়েছে , তাই লড়াই সকলের, গেরুয়া লাল সবুজ নয়, এই মিছিল মানুষের’। সেই প্রসঙ্গ টেনে জিতু তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, 'বলি, আজকের যে মহামিছিলে এত সংখ্যক মানুষের সমাগম, এই মিছিলটা কোন রাজনৈতিক দলের? প্রথমদিন যখন আমি বলেছিলাম দলমত নির্বিশেষে রাস্তায় নামুন। তখন কিছু ফেসবুকি সিপিএম ঝাঁপিয়ে পড়ে সমালোচনা করলেন। আজকে তো আবার দেখিয়ে দিল শহরবাসী, পশ্চিমবাংলারবাসী।'
তবে জিতু তাঁর পোস্টে ধান্দাবাজদের চিহ্নিত করতে বলেছেন। তিনি বলেন, 'দলমত নির্বিশেষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন। টিএমসি সিপিআইএম দেখতে যাবেন না। অবশ্যই ধান্দাবাজদের চিহ্নিত করুন (যারা মমতা দেবীরও নয়, বিমানবাবুরও নয়, মোদীজিরও নয়। যেদিকে ভিড় সেদিকে ঝুঁকে পড়েন,আর নিজেরটা গুছিয়ে নেন) বাকি একটা দল তো রুটি সেঁকছে।' আসলে বার বার প্রতিবাদী মিছিলে যোগ দেওয়া নিয়ে টলিউড তারকাদের ট্রোল-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তবে জিতুর এই পোস্টের পর তাঁকে নানা ধরনের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়।
টলিপাড়ার মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়নি জিতুকে। তবে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন তিনি। নির্যাতিতার বিচারে রাজনীতির রঙ চাইছেন না তিনি। তাঁর মতে এ মিছিল মানুষের, এতদিন ধরে হয়ে আসা কদর্যতার উত্তর খোঁজার আদর্শ সময়। প্রসঙ্গত, জিতুর এই মহামিছিলে থাকার ইচ্ছে থাকলেও তিনি কলকাতায় নেই বলে যোগ দিতে পারেননি। এর আগেও জিতু তাঁর প্রতিবাদী কন্ঠে আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়েছেন।