অফ হোয়াইট রঙের ফুলহাতা টি-শার্ট আর ডেনিম। মুখে একরাশ চিন্তা। আরজি কর-কাণ্ডে ১৪ অগাস্টের রাতের পর আবার কোনও প্রতিবাদ মিছিলে দেখা গেল দিতিপ্রিয়া রায়কে। এর আগে অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর নিয়ে সরব হতে দেখা গেলও সেভাবে কোনও প্রতিবাদ মিছিলে দিতিপ্রিয়াকে দেখা যায়নি। আর এই নিয়ে তাঁকে ট্রোলের মুখেও পড়তে হয়। তবে রবিবার নাগরিক সমাজের ডাকা মহামিছিলে টলিউডের অন্যান্য তারকাদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে।
রবিবারের মহামিছিল শুরু হয় কলেজ স্কোয়ার থেকে যা শেষ হয় ধর্মতলায়। মিছিলের প্রথমে সোহিনী সরকার, চৈতি ঘোষাল, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিদিপ্তাদের দেখা গেলও দিতিপ্রিয়া ছিলেন মানুষের ভিড়ে মিশে। হাঁটছিলেন একেবারে চুপটি করেই। ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের মিছিলেও দিতিপ্রিয়া ছিলেন সাধারণের সঙ্গেই মিশে। রবিবার মিছিলে পা মেলাতে মেলাতেই দিতিপ্রিয়া এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি এখন কিছু চাই না। যতক্ষণ না সুবিচার আসছে, মাথায় অন্য কিছু আসছে না। কাল যদি আমার সঙ্গে এমন কিছু ঘটে, কতদিন আমার মা-বাবা লড়তে পারবেন আমার জন্য? সত্যি জানি না কত দিন ধরে লড়ে যেতে হবে।
আরজি কর-কাণ্ডের ঘটনা অভিনেত্রীকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলেছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না। ভাইরাল হওয়া রেকর্ডিংগুলো শুনেছি। নির্যাতিতার বাবা-মা জানতে চাইছেন, মেয়ের জ্বর হয়েছে কি না। এগুলো শুনে এবং নির্যাতিতার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা ভেবে আমি বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না। দু’চোখের পাতা এক করতে পারছি না। এক জন মেয়ে এবং মানুষ হিসেবে এটাই চাইছি। তবে দিতিপ্রিয়া এও জানান যে কাজ তাঁর থেমে নেই। কাজের পরে এসেই প্রতিবাদে যোগ দিতে হবে, এর চেয়ে বেশি কী আর করতে পারেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে টলিউড ও ছোটপর্দার প্রতিবাদ মিছিলে দেখা মেলেনি দিতিপ্রিয়ার। যার কারণে তাঁকে কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল। তবে সেই সময় অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে তাঁর মাস্টার ডিগ্রির পরীক্ষা চলছিল। তাই তিনি ১৪ অগাস্টের পর আর কোনও প্রতিবাদ মিছিলে যেতে পারেননি। তবে এই ঘটনার জন্য তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে পরীক্ষা মিটতেই তাঁকে দেখা আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চাইতে রাস্তায় নামতে। খুব শীঘ্রই অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোটপর্দায় কামব্যক করছেন দিতিপ্রিয়া।