এ আর রহমানের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার পরই তাঁর দলের বেস গিটারিস্ট মোহিনী দে ডিভোর্সের কথা প্রকাশ্যে আনলেন। সঙ্গীত পরিচালক স্বামী মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে যৌথ পোস্টে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন মোহিনী। এই সিদ্ধান্ত তাঁরা যৌথভাবে নিয়েছেন বলেও জানান। ১৯ নভেম্বর রাতে বিবাহ ডিভোর্স ঘোষণা করেন এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এর ঠিক ঘণ্টা খানেক পরই স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান বেসিস্ট মোহিনী।
ইনস্টাগ্রামে এই নিয়ে পোস্টে মোহিনী লেখেন, 'ভারাক্রান্ত মনে জানাচ্ছি, আমি ও মার্ক হার্টসাচে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে দায়বদ্ধ। তাঁদের উদ্দেশে জানাচ্ছি, এই সিদ্ধান্তটি যৌথভাবে নেওয়া। যদিও আমরা ভালো বন্ধু থাকব। তবে আমাদের জীবনের দিশা এক নয়। সেজন্য নিজের নিজের জীবনে সুখে থাকতে চাই।'
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মোহিনী সাফ করে দিয়েছেন, তিনি ও মার্ক বৈবাহিক জীবনে আলাদা হলেও গেলেও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করবেন। যে সব প্রোজেক্ট রয়েছে সেগুলো যেমন চলছিল তেমনই চলবে। ফ্যানরা যেন তাঁদের মতামতকে সম্মান দেয় সেটা নিশ্চিত করার আবেদন জানান মোহিনী।
কলকাতার মেয়ে মোহিনী দে। তিনিই এখন দেশের অন্যতম সেরা বেস গিটারিস্ট। এ আর রহমানের সঙ্গে ৪০টিরও বেশি শো করেছেন বিশ্বজুড়ে। ২০২৩ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
প্রসঙ্গত, গতরাতে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন এ আর রহমান ও সায়রা বানি। বিয়ের ২৯ বছর পর বিচ্ছেদ হতে চলেছে অস্কারজয়ী রহমানের। রহমান এবং সায়রার আইনজীবী একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি। রহমানের স্ত্রীর দাবি, এই সম্পর্কের মধ্যে নানা যন্ত্রণা সইতে হচ্ছিল। যা তাঁর পক্ষে সয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। ১৯৯৫ সালে দুজনের বিয়ে হয়। তাঁদের ৩ সন্তানও রয়েছে।