তিন বছরের বেশি সময় ধরে আলাদাই থাকছিলেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে বহুদিন আগেই চিড় ধরেছিল। তবে তাঁরা আদৌও বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন কিনা সে নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষ ১৩ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন শেষ করতে চলেছেন এই দম্পতি। ইন্দ্রনীলকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন বরখা।
বরখা ও ইন্দ্রনীলের মাঝে চলে এসেছিলেন টলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী ইশা সাহা। যদিও এই নিয়ে ইশা বা ইন্দ্রনীল কেউই মুখ খোলেননি। তবে টলি পাড়ার অন্দরের খবর ইশার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিলেন বলেই ইন্দ্রনীলের বিবাহিত জীবন ছাড়খার হয়ে যায়। এই নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি।
আরও পড়ুন: Ishaa Saha: ইশার সঙ্গেই পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন ইন্দ্রনীল? মুখ খুললেন অভিনেত্রী
বরখা এক সংবাদমাধ্যমকে জানান যে গত তিন বছর ধরে তিনি ও ইন্দ্র্রনীল একসঙ্গে থাকছিলেন না। মেয়ে মায়রা দুজনের কাছেই পালা করে থাকত। তবে এবার খুব শীঘ্রই বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁদের। বরখা এও জানান যে এটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম সিদ্ধান্ত ছিল। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া সহ সবর্ত্রই তিনি স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন। এ প্রসঙ্গে বরখা জানান যে তাঁরা এখনও আিনত স্বামী-স্ত্রী, তাই তিনি এই পদবী ব্যবহার করছেন। ডিভোর্সের পর তিনি আর পদবী ব্যবহার করবেন না। বরখা এবং ইন্দ্রনীল একসঙ্গে না থাকলেও মেয়ের কর্তব্যে কোনও ফাঁক রাখেননি।
বরখা ও ইন্দ্রনীলের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল হওয়ার পিছনের কারণ কিন্তু ইশা সাহা। যদিও এ নিয়ে বহু আগেই ইশা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। প্রসঙ্গত, 'তরুলতার ভূত'নামে একটি ছবিতে কাজ করার সময়ই ইশার প্রেমে পড়ে যান ইন্দ্রনীল। যদিও নতুন ‘ফেলুদা’ তা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। তবে দুজনকেই একাধিক ইভেন্টে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। তবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি এই দুই তারকাই। যদিও বর্তমানে শোনা যাচ্ছে, ইন্দ্রনীলের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে চিড় ধরেছে ইশারও। সুতরাং বলা চলে এ কূল ও কূল দুটোই হারালো ইন্দ্রনীল।
আরও পড়ুন: Parambrata- Ishaa: ঘরে ফেরার গল্প বলবেন পরব্রত- ইশা, মার্চেই আসছে অন্য ধারার নতুন ছবি
অপরদিকে, ইন্দ্রনীল ও বরখা বিস্ত ২০০৬ সালে এ সিরিয়ালের সেটে তাঁদের প্রথম দেখা ও তারপর প্রেম। ২ বছরের মাথাতেই তাঁরা বিয়ে করে নেন। তাঁদের ১১ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে যখন তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর আসে তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। টিভির লাভ বার্ডসের বিয়ে ভাঙার খবরে অবাক হয়েছিলেন বন্ধু-সহকর্মীরাও।