একেবারে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এলেন টেলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। কাশ্মীরে শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ট্রেকিং করতে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছিলেন অভিনেতা। ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা এরকম ভয়াবহ হবে কখনই ভাবেননি রণজয়। এই মুহূর্তে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হিন্দি সিরিয়াল ঝনক-এর শ্যুটিংয়ে রণজয় কাশ্মীরেই রয়েছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রণজয় জানিয়েছেন যে তাঁরা ট্রেকিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন আরশান ও ফাম্বার উপত্যকা। সেইমতো তাঁরা ৮ সেপ্টেম্বর ভোরে রওনা দেন। প্রথম দিনে প্রায় ১২ কিলোমিটার ট্রেক করতে হয় তাঁদের। রণজয় জানান, প্রথম রাতে ক্যাম্পে বৃষ্টি হয়, তাঁরা আশ্রয় নেন কাঠের বাঙ্কারে। প্রথম দিনে প্রায় ১২ কিলোমিটার ট্রেক করতে হয় তাঁদের।
বিপত্তি ঘটে তৃতীয় দিন। স্থানীয় গাইডের নির্দেশ ছিল যে পুরো দলকে সিন্থন টপ পর্যন্ত ট্রেক করে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে নীচে নেমে গাড়ি নিয়ে হোটেলে ফেরা। রণজয় জানান যে দুপুরে সেখানে পৌঁছে গাইড তাঁদের জানান যে পাহাড়ের খাড়া ঢাল ট্রেক করে নামতে হবে। গাইড যে অভিজ্ঞ ছিলেন না তা রণজয়রা বুঝে গিয়েছিল। উপরন্তু অভিনেতা তো নিজেও অভিজ্ঞ পর্বতারোহী নন, তিনি শখে ট্রেকিং করেন। কিন্তু আর কোনও রাস্তাও ছিল না, অগত্যা গাইড তাঁদের প্রায় কুড়ি তলা বাড়ির সমান পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নামতে বাধ্য করেন।
ভয়ানক অভিজ্ঞতা সঞ্চয করে ফিরে এসে ফের শ্যুটিংয়ে যোগ দিয়েছেন রণজয়। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ রণজয় বিষ্ণু। গুড্ডি ধারাবাহিকের সৌজন্যে ছোট পর্দার দর্শকের কাছে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছন। সোহিনী সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চায় ছিলেন অভিনেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রণজয় সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা লাইভে এসে বলেনও। অভিনেতা লাইভে এসে জানান যে, গাইডের সঙ্গে তাঁদের একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয়। ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় শ্যুটিং ইউনিটের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেননি। অভিনেতা এও জানান যে তাঁরা নামতে শুরু করেন। দু’তিন বার পায়ের নীচ থেকে পাথর সরে গিয়েছে। এত কাছ থেকে মৃত্যকে দেখিনি কোনওদিন!অবশেষে ঈশ্বরে দূত হয়ে আসেন কাশ্মীরী যুবক। লাইভে ওই আরিফকে বারবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর জন্যই রণজয় আর তাঁর বন্ধুরা নতুন ভোরের আলো দেখতে পেয়েছেন। বয়সে ছোট হলেও আরিফের পা ছুঁয়ে প্রণামও করেছেন রণজয়।