শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan) ও রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) ড্রাগস মামলায় জড়ানোর পর তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এদিকে এই ঘটনা আতঙ্কও জাগিয়েছে কারও কারও মনে। এই বিষয়গুলি সামনে আসার পরে, ভারতের অনেক মোবাইল কমিউনিটি এখন ডিভাইস-ক্লিনআপ পরিষেবার জন্য ব্যক্তিগত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করছে৷
ইউজাররা যবে থেকে জানতে পেরেছেন যে, ল এনফোর্সমেন্ট হাই-টেক টুলস দিয়ে সুসজ্জিত এবং যার মাধ্যমে হ্যান্ডসেট ও কম্পিউটারের ডিলিট করা ডাটাও পুনরায় উদ্ধার করা যায়, তবে থেকেই বেসরকারি ডিজিটাল ল্যাবরেটরিগুলিকে এই কাজ দেওয়া হচ্ছে।
ক্লিন করতে খরচ হয় মোটা অঙ্কের টাকা
প্রথমসারীর এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যে তাঁর টিম আগে তদন্তকারীদের সঙ্গে কাজ করেছে। কিন্তু এখন গ্রাহকদের পরিষেবা দিচ্ছে। সেইসব গ্রাহকদের মধ্যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও অন্তর্ভুক্ত। তাঁর ল্যাব একটি ফোনের ডিপ ক্লিনিং করতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা নেয়।
ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানান, ফোনগুলো ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। তাঁদের এক্সপার্টরা সঙ্গে থাকেন। তাঁরা ইন্টারনাল সিস্টেমের বিষয়ে জানেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরণের কাজে সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে দেখা হয়। সমস্ত কন্টেন্ট আদতেও ডিলিট হয়েছি কি না, বা সেগুলি আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব কি না, সেগুলিও দেখা হয়।
ওই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দাবি, ডিলিট করা কন্টেন্ট আর পুনরায় উদ্ধার করা যাবে না। যেহেতু তাঁরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্যও কাজ করেছেন তাই তাঁরা এই বিষয়ে নিশ্চিত। এটিকে বলা হয় wiping। তবে তাঁরা গ্রাহকদের নাম বলেন না।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের তরফে ফোনের সমস্ত জেটা ডিলিট করার পরামর্শ দেওয়া হয় না। এই বিষয়ে ওই বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, "আমি ফোনটি পুরোপুরি ক্লিন করার পরামর্শ দিই না, কারণ তাতে সন্দেহ বাড়ে। বরং, আমরা টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং অন্যান্য উন্নত অ্যাপ্লিকেশনগুলি থেকে বিতর্কিত চ্যাটগুলি সরিয়ে দেওয়ার কথা বলি।"
মুম্বইয়ের অপর এক বেসরকারি ল্যাব এক্সপার্ট বলেন, তাঁদেরকেই ডিপ-ক্লিন সার্ভিস অফার করা হচ্ছে যাঁদের ওপর আগে থেকেই মামলা চলছে। ওই বিশেষজ্ঞের ল্যাব থেকে একটি ফোনের জন্য ১২ হাজার টাকা এবং প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশানের জন্য ৬ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, তাঁদের কাছে এমন অনেক গ্রাহক আসছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই মামলা মোকদ্দমায় ফেঁসে রয়েছেন। তাঁরা ফোন ক্লিন করাতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে এমনভাবেই ক্লিন করা হচ্ছে যাতে তা আর পুনরুদ্ধার করা না যায়।
তৈরি হয়েছে কাউন্টার টুল
ওই বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, একটি রিকভারি টুল আছে, যা দিয়ে ডাটা পুনরুদ্ধার করা যায়। কেন্দ্র, রাজ্য, সিবিআই এমনকী আমেরিকার ফরেনসিক ল্যাবরেটরিগুলোও সেই টুল ব্যবহার করে। তবে তাঁরা এর একটি কাউন্টার টুল তৈরি করেছেন, যা যেকোনও রিকভারির চেষ্টা ব্যর্থ করবে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে এই কাজ করা হয়। ইউজারের ডাটা কারও সঙ্গেই শেয়ার করা হয় না। তাঁর দাবি, তাঁদের ল্যাব যে ডাটা ডিলিট করে তা আর কোনও সরকারি সংস্থার রিকভার করতে পারবে না।