scorecardresearch
 

Anindya Chatterjee Divorce: 'চন্দ্রবিন্দু'র অনিন্দ্যরও ডিভোর্স, স্ত্রী মধুজার পোস্ট, 'একা হয়ে যাচ্ছি...'

Anindya Chatterjee Divorce: টলিউডে একের পর এক বিচ্ছেদের ঘটনা। যিশু-নীলাঞ্জনা, জিতু-নবনীতাদের তালিকায় এবার সংযোজন হতে চলেছে চন্দ্রবিন্দুর গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের নাম। স্ত্রী মধুজার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটতে চলেছে গায়কের। এই কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছেন অনিন্দ্যর স্ত্রী মধুজা।

Advertisement
বিয়ে ভাঙছে অনিন্দ্য-মধুজার বিয়ে ভাঙছে অনিন্দ্য-মধুজার
হাইলাইটস
  • টলিউডে একের পর এক বিচ্ছেদের ঘটনা।

টলিউডে একের পর এক বিচ্ছেদের ঘটনা। যিশু-নীলাঞ্জনা, জিতু-নবনীতাদের তালিকায় এবার সংযোজন হতে চলেছে চন্দ্রবিন্দুর গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের নাম। স্ত্রী মধুজার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটতে চলেছে গায়কের। এই কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছেন অনিন্দ্যর স্ত্রী মধুজা। টলিপাড়ায় বহু আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অনিন্দ্য ও মধুজার সম্পর্ক ক্রমশঃ আলগা হচ্ছে। এবার আইনি পথে বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে দিলেন অনিন্দ্য-পত্নী মধুজা। 

মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় একজন শিল্পী, লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ছবিও আঁকেন। মুম্বইতেই বেশিরভাগ সময়ে থাকেন মধুজা। অনিন্দ্য ও মধুজার সন্তানও রয়েছে। সেও মায়ের সঙ্গেই থাকে। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রবিবার যখন গোটা শহর মুখরিত প্রতিবাদ মিছিলে, সেই সময়ই মধুজা রবীন্দ্রনাথের গানে নিজেদের ডিভোর্সের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন। বিচ্ছেদ ঘোষণার সময়ও মধুজার কন্ঠে ছিল তাঁর ও অনিন্দ্যর ছেলে জুজুর কথা। মধুজা রবি ঠাকুরের গানকে সম্বল করেই লিখেছেন, ‘‘মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।

গায়কের স্ত্রী মধুজা পুরনো স্মৃতি হাতড়ে লেখেন, 'অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো , যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।' মধুজা আরও লেখেন, 'জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে। জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!'

আরও পড়ুন

Advertisement

স্ত্রী মধুজার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে পোস্ট এলেও অনিন্দ্য কিছুই জানায়নি এ প্রসঙ্গে। গায়কের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা থেকে দূরে, মুম্বইয়ে থাকতে শুরু করেন। তবু এ সবের মাঝে একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। ন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের একটি বিখ্যাত গান ‘জুজু সোনা’ তাঁদের ছেলের জন্মের আগের। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পরও তাঁরা যে জুজুর বাবা-মা হিসাবে সব দায়িত্ব কর্তব্য করবেন তা মধুজার পোস্ট থেকে স্পষ্ট। 

Advertisement