টিআরপিতে সেভাবে জায়গা করতে না পারলেও দর্শকদের কাছে ভীষণভাবে জনপ্রিয় মিঠিঝোরা সিরিয়াল। আর এই সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে তিন বোনের জীবনের ওঠা-পড়ার কাহিনি। মিঠিঝোরা সিরিয়ালে রাইয়ের চরিত্রে অবিনয় করা আরাত্রিকা মাইতি টেলি দুনিয়ায় খুবই পরিচিত এক মুখ। খেলনা বাড়ি সিরিয়ালে মিতুল চরিত্রে অভিনয় করে আরাত্রিকা ব্যাপক হারে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। আর এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আরাত্রিকাকে দেখা যায় মিঠিঝোরা সিরিয়ালে। এই সিরিয়ালে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
সিরিয়ালে বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে আরাত্রিকা এখন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তবে ইতিমধ্যেই তিন-তিনটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছেন। কাজ শুরু করেছিলেন ছোট্ট বয়স থেকে। ছেলেবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিল আরাত্রিকার। খুব অল্প বয়সেই নিজের অভিনয়ের জোরে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী। ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা এক অত্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন। ছোট থেকে তিনি সেখানেই বড় হয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নটাকেও তিনি ধরে রেখেছিলেন। সেই আরাত্রিকার পারিশ্রমিক কত জানেন?
এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী গত বছর আরাত্রিকা খেলনা বাড়ি সিরিয়ালটির জন্য মাসে পেতেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে অনুমান করা যাচ্ছে যে মিঠিঝোরা সিরিয়ালটির জন্য তিনি সম্ভবত একটু বেশি চার্জ করেছেন। তাঁর অভিনয় সত্যিই অসাধারণ। চরিত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়ে তিনি অভিনয় করেন। খেলনা বাড়ি-তে যখন তিনি অভিনয় শুরু করেন তখনও তিনি স্কুলের গণ্ডি পেরোননি। তবে এখন তিনি কলেজে পড়ছেন। কলকাতাতেই মা-বাবার সঙ্গে থাকেন। শ্যুটিং আর পড়াশোনা এই রুটিন পর্দার রাইয়ের।
অভিনয়ের পাশাপাশি আরাত্রিকা সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ থাকেন। নিজের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করে থাকেন। আরাত্রিকার ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা প্রচুর। বাংলা সিরিয়ালের চেনা মুখ আরাত্রিকা জীবনে অনেক সংঘর্ষ করে এই জায়গাতে পৌঁছেছেন। তবে সময়-সুযোগ পেলেই আরাত্রিকা ঝাড়গ্রামে চলে যান। সেখানেই তো বেড়ে উঠেছেন তিনি।
তিনি দর্শকদের থেকে প্রচুর ভালবাসা এবং সমর্থনও পাচ্ছেন। কলকাতা শহরের বুকে বাবা-মার জন্য একটা বাড়ি তৈরি করে দিতে চান তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন রয়েছে তার। মিঠিঝোরা সিরিয়ালে রাইয়ের চরিত্রকে দারুণ পছন্দ করছেন দর্শকেরাও।