বলিউড তথা টলিউডে একসময় বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে পাওয়ার কাপল বলে মনে করা হত। তাঁদের মধ্য়েকার মিষ্টি বন্ডিং ও বরখা-ইন্দ্রনীলের একমাত্র মেয়ে মায়রাকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার ছিল। কিন্তু ১৪ বছরের সেই সুখী দাম্পত্য ভাঙল। বরখা ও ইন্দ্রনীল আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে ইন্দ্রনীল ও বরখার ডিভোর্স হওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে অভিনেতা নাকি তাঁর মেয়েরও দেখাশোনা থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছেন। গত ৩ বছর ধরে এই খবরই ঘুরপাক খাচ্ছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে। তবে এবার সামনে এল আসল সত্যি।
গত তিন বছর ধরে মেয়ে মায়রাকে নিয়ে একের পর এক ভুল তথ্য শোনার পর অবশেষে মুখ খুললেন ইন্দ্রনীল। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, মায়রা আমার একমাত্র মেয়ে। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। মেয়েকে ভাল জীবন দেওয়ার জন্যই আমি এত পরিশ্রম করছি। মায়রা বরখার কাছে বেশি থাকে কারণ মায়রা এখন যে বয়সে রয়েছে সেখানে থেকে সে ক্রমে কিশোরী হতে চলেছে। তাই মায়রা অধিকাংশ সময়টা মায়ের কাছেই কাটায়। বরখা ওকে বেশি ভাল গাইড করতে পারবে।
মায়রা এই সেপারেশনটাকে কীভাবে দেখছে? এ বিষয়ে ইন্দ্রনীল বলেন যে এই পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে যে মানুষটি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে হল তাঁর মেয়ে। মায়রা এখন কিশোরী, তার মধ্যে শৈশব না গেলেও, খুব পরিণত মনস্কের মানুষ সে। ইন্দ্রনীল বলেন, মায়রা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন আমার কাছে থাকে অথবা বরখা যদি কোথাও যায় তখন মায়রা আমার কাছে থাকে। আবার আমি যদি কোথাও বাইরে কাজে যাই তখন মায়রা নয় বরখা অথবা আমার মা-বাবার সঙ্গে থাকে। মায়রাকে এটা বোঝাই যে আমরা হয়ত এক ছাদের তলায় থাকি না তবে অভিভাবক হিসাবে আমরা মায়রার সব দায়িত্বই পালন করব।
প্রসঙ্গত, বরখার সঙ্গে আলাদা হওয়ার খবরের পাশাপাশি এটাও শোনা গিয়েছিল যে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে ইশা সাহার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর সেই কারণেই বরখা-ইন্দ্রনীলের ১৪ বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরে। যদিও অভিনেতা বা ইশা এ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ আঁটলেও কাছের মানুষ সিনেমার প্রচারে এসে ইশা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি ও ইন্দ্রনীল সম্পর্কে রয়েছেন। তবে এখন আর সেই সম্পর্ক নেই। ইশা এখন সিঙ্গেল বলা চলে এবং ইন্দ্রনীলও এই মুহূর্তে কাজলের সঙ্গে নতুন ছবির শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত।