বাঙালি ইউটিউবারদের মধ্যে সবথেকে সফল বলা চলা কিরণ দত্তকে। যদিও তিনি সকলের কাছে বং গাই হিসাবে পরিচিত। এক সাধারণ ঘরের ছেলে শুধুমাত্র ইউটিউব ও ফেসবুকে ব্লগ-ভিডিও বানিয়েই আজকে লাখপতি হয়ে গিয়েছেন। কিরণ সেলিব্রিটিদের থেকে কম কিছু নন। তাঁর ফ্যান ফলোয়ার্সদের সংখ্যা আচ্ছা আচ্ছা তারকাদেরও হার মানায়। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েই কিরণ নিজের ফ্ল্যাট-গাড়ি করেছেন। কিরণ দত্ত মাসে কত উপার্জন করেন, তা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। গত বছর দাদাগিরি-তে গিয়ে কিরণ দত্ত জানিয়েছিলেন তাঁর আয়ের কথা। যেটা শুনে অনেকেরই মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছিল।
কিরণ দত্ত যখন ইউটিউবে ভিডিও বানাতে শুরু করেছিলেন তখন বাঙালি ইউটিউবারের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। সেই সময় বলতে গেলে শূন্য থেকেই শুরু করেছিলেন তিনি। তখন মজার মজার কনটেন্ট বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তে শুরু করেন তিনি। দিনরাত পরিশ্রম করে ভিডিও বানিয়েছেন। ধীরে ধীরে তার ভিডিও পছন্দ করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের নিয়ে তার বানানো ভিডিও হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে নেট মাধ্যমে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়া ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার স্বপ্ন ছেড়ে যেদিন বেছে নিয়েছিল ইউটিউবের প্ল্যাটফর্ম, সেদিন বলতে গেলে অনেক বড় ঝুঁকিই নিয়েছিল সে। তবে সেই ঝুঁকি যে বিফল হয়নি তা এখন হারে হারে টের পান কিরণ দত্ত।
বর্তমানে কিরণ দত্তের ইউটিউব ও ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার্স রয়েছে। ভিডিও বানিয়ে মাসে মোটা টাকা উপার্জন করছেন বং গাই নামে খ্যাত এই ইউটিউবার। গত বছর দাদাগিরির মঞ্চে এসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর উপার্জনের কথা। কিরণ দত্তকে সৌরভ গাঙ্গুলি জানতে চেয়েছিলেন তার মাসিক উপার্জনের অঙ্কটা। নির্দিষ্ট করে কোনও অঙ্কের উল্লেখ না করেই বং গাই সগর্বে জানালেন কোনও একজন ইঞ্জিনিয়ারের তুলনায় তিনি মাসে ৬-৭ গুণ বেশি উপার্জন করছেন। এই কথা শুনে সৌরভ অনুমান করে বলেন সেই হিসেবে কিরণ দত্তের মাসিক উপার্জনের অঙ্কটা দাঁড়ায় ১০-১২ লক্ষ টাকা।
কিরণ দত্ত জানিয়ে দেন ইউটিউব, ফেসবুকের নিয়ম অনুসারে উপার্জনের সঠিক অঙ্কটা বলতে নিষেধ করা হয়। যদিও তার কথা থেকে বেশ স্পষ্টই হয়ে গিয়েছে তিনি তার ভিডিওর দরুণ প্রতি মাসে বেশ ভালোরকম উপার্জন করছেন। ইতিমধ্যেই কিরণ দত্ত সিনেমাও করে ফেলেছেন। কলকাতা চলন্তিকা নামের সেই সিনেমায় তাঁকে দিতিপ্রিয়া রায়ের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল।