আর ২ মাস পরেই একবছর পূর্তি হবে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর। ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেও অবশেষে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়েছিল টেলিভিশনের তরুণ তুর্কি ঐন্দ্রিলাকে। তাঁর মৃত্যু এখনও অনেকে মানতে পারেন না। মৃত্যুর সঙ্গে যখন অভিনেত্রী হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লড়াই করছেন, সেই সময় পাশে পেয়েছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী ও তাঁর পরিবারকে। ২৪ বছরের ঐন্দ্রিলা আজ নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতি নিয়ে আজও বেঁচে আছে অভিনেত্রীর পরিবার। তাঁর মৃত্যুর পর ৩০ অগাস্ট প্রথম রাখিতে মন ভার দিদি ঐশ্বর্য শর্মার। ইনস্টা হ্যান্ডেলে তাঁর হৃদয়বিদারক পোস্টে চোখে জল ঐন্দ্রিলার অনুগামীদের।
রাখি উপলক্ষ্যে ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য একটি মিষ্টি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে তিনি তাঁর ছোটবোনের অভাব বোধ করছেন ভীষণভাবে। সেখানে আবেগপ্রবণ হয়ে লেখেন, যত দিন যাচ্ছে ততই যেন সব কিছু আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। হ্যাপি রাখি বোনু। সঙ্গে হৃদয়ের ইমোজি। প্রসঙ্গত, যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে থাকতেন ঐশ্বর্য।
দুই বোন ছিল একে-অপরের প্রিয় বন্ধু। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। খুনসুটি থেকে হাসি-মজা-আনন্দের মধ্যে দিয়েই কাটত তাঁদের জীবন। দু বার মারণ রোগ ক্যান্সারকে জয় করে ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সবাই ভেবেছিল হয়ত এবারও সেটাই হবে। কিন্তু গত বছর ২০ নভেম্বর একেবারে সব শেষ হয়ে গেল। দিদিকে একা ফেলেই চিরতরের জন্য চলে গেলেন বোনু ঐন্দ্রিলা। ঐশ্বর্যর শেয়ার করা ভিডিওতে বড্ড জীবন্ত ঐন্দ্রিলা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চেয়ারে চুপটি করে বসে রয়েছেন আবার কখনও বা প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছেন আবার কখনও বা হেঁটে চলেছেন প্রকৃতির সঙ্গে। আসলে এই বিশেষ দিনগুলোতে বড্ড বেশি করেই মিস করেন ঐন্দ্রিলাকে দিদি। গত বছরের রাখিও একসঙ্গে কাটিয়েছেন, মজা করেছেন, আর এই বছর সেই মানুষটাই আর নেই।
সম্প্রতি টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। তিনি মঞ্চেই জানান যে এটা কি বয়স ঐন্দ্রিলার মরণোত্তর সম্মান পাওয়ার। প্রসঙ্গত, জিয়ন কাঠি খ্যাত অভিনেত্রী ক্যান্সার রোগ জয়ের পর ধীরে ধীরে অভিনয়ে ফিরছিলেন। কথা ছিল একটা ওয়েব সিরিজে কাজ করারও কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। আপাতত অভিনেত্রীর পুরনো ভিডিও-ছবিতেই তিনি সকলের মাঝখানে স্মৃতি হয়ে চিরকাল থেকে যাবেন।