টলিউডে নতুন করে পরিচয় দেওয়ার কিছুই নেই মনামী ঘোষের। তিনি নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট দিয়ে সবসময়ই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। কখনও শাড়ির ভাঁজে শরীরী আবেদন অথবা বিকিনিতে নেট দুনিয়ায় ঝড় তোলা, মনামী মানেই নতুন সেনসেশন। মনামী ঘোষ এবং তাঁর সাজ সবসময় ভীষণ অন্যরকম এবং আপ টু ডেট। আর তারই ঝলক দেখা গেল শহরের এক অন্যতম অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে, যেখানে মনামী ফিউশন পোশাক রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শুক্রবার এক পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একটি নামকরা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। সেই ইভেন্টে বিনোদন জগতের একাধিক তারকাদের দেখা মিললেও পুরো লাইমলাইট কেড়ে নিলেন মনামী। তাঁর পোশাক নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায়। মনামী যে পোশাকটি পরেছিলেন তা অন্যদের থেকে শুধু আলাদাই নয়, তাতে ছিল বাংলার ছোঁয়। মনামী যে গাউনটি পরেছিলেন তা ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নের হলেও তাতে নকশী কাঁথার ডিজাইন এই পোশাককে অনন্য করে তোলে। সাদা ও লাল পাইপিন দেওয়া মনামীর গাউনে শুধু নকশী কাঁথাই নয়, ব্যাকলেসে পিঠে তাতে খোদাই করা বাংলা কবিতা। মনামী বাংলার সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন পাশ্চাত্যকে।
এই পোশাকের সঙ্গে মনামীর সাজও ছিল নজরকাড়া। মনামী বেঁধেছিলেন বেড়া বিনুনি। যা ছোটবেলায় অনেক মেয়েকেই তাঁদের মা শোওয়ার সময় বেঁধে দিতেন। মনামীর চুল বাঁধার স্টাইল অনেক নেটিজেনকেই নস্টালজিক করে তোলে। এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে মনামী তাঁর পোশাক সম্পর্কে বলেন যে, এটা নকশী কাঁথা যেটাকে ওয়েস্টার্ন স্টাইলে বানানো। একদম বাংলার সংস্কৃতি। তাঁর সঙ্গে বেড়া বিনুনি বাঁধা। এখানেই শেষ না। অভিনেত্রী খোলা পিঠে লিখলেন, বাংলার শ্লোক।
মনামীর এই পোশাক ও সাজ নেট দুনিয়ায় দারুণভাবে চর্চিত হয়েছে। অনেকেই তাঁর এই সাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রসঙ্গত, মনামী প্রায়ই নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন। আর তাঁকে সবকিছুতেই দারুণভাবে মানিয়ে যায়। ৪০-এর ওপর বয়স হলেও তা মনামীকে দেখে বোঝা দায়। নিজেকে ফিট রাখতে মনামী নাচটাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সঙ্গে রয়েছে পরিমাণমতো খাওয়া-দাওয়া।