জীবনমুখী গান যাঁর হাত ধরে বাঙালির ঘরে পৌঁছেছিল তিনি আর কেউ নন সকলের প্রিয় নচিকেতা। যাঁর কন্ঠে নীলাঞ্জনা, অনির্বাণ অথবা বৃদধাশ্রম শুনে বারংবার মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতারা। জীবনমুখী গানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বলা চলে নচিকেতাকে। গান নিয়ে নানান ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করতেও ভালোবাসেন তিনি। তবে এই প্রথমবার নচিকেতার কন্ঠে শোনা যাবে কৃষ্ণ ভজন। এটা শোনার পরই তাঁর ভক্ত ও অনুরাগীদের মধ্যে কৌতুহল বেড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি অয্যোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই নচিকেতার গলায় শোনা যাবে এই কৃষ্ণ ভজন। এর আগেও শিল্পীর গলায় শ্যামা সঙ্গীতের মতো ভক্তিগীতি শুনেছেন শ্রোতারা। শ্রোতাদের মনের উপর ছাপ ফেলেছে তাঁর একের পর এক হিট টু সুপারহিট। তিনি এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে বুক ফুলিয়ে সবসময়ই বলতে পেরেছেন তাঁর কোনও বিকল্প নেই। এবার নতুন গানেও একইভাবে প্রশংসিত হবে তাঁর গান।
গীতিকার শ্রী গোবিন্দ প্রামাণিক এবং সুরকার রাজকুমার রায়ের সৃষ্ঠ কৃষ্ণ ভজন ‘কৃষ্ণ নাম বলবো’ গানে শোনা যাবে নচিকেতার কণ্ঠ। ২২ তারিখ শিল্পীকে ডেডিকেট করেই শ্রী রাজকুমার রায়ের কণ্ঠে ‘চোখ মোছাবো নচির গানে’ নামক গানটিও ওইদিনই উদ্বোধন হবে। তবে নচিকেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে রামমন্দির উদ্বোধনের সঙ্গে তাঁর কৃষ্ণ ভজন গাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। নচিকেতা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি বরাবরই একজন কৃষ্ণভক্ত। তাই কৃষ্ণের গান গাওয়ার সুযোগ তিনি পেয়েছেন সেটাই তাঁর কাছে অনেক।
নচিকেতার কন্ঠে জীবনমুখী হোক বা কৃষ্ণ ভজন সবটাই যে শ্রুতিমধুর হয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নয়ের দশকে নচিকেতার হিট গান আজও নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়। আট থেকে আশি সকলেই তাঁর গানের ফ্যান। তিনি যে গানেই কণ্ঠ মেলান, তা খুব স্বাভাবিকভাবেই মন কাড়ে ভক্তদের। গত বছর তাঁর কণ্ঠে ডিভোর্সও তেমনই একটা সুন্দর অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। যা কেউ কখনও ভাবতেই পারে না, সেটাই করে দেখান নচিকেতা।