অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে নিয়ে বিতর্ক কম নয়। তাঁর অভিনয় পেশার চেয়ে বেশি নুসরত ট্রোল হয়ে থাকেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এক কথায় বলা চলে নায়িকার গোটা জীবনটাই চর্চিত। প্রায় রোজই কোনও না না কোনও বিষয় নিয়ে চর্চার কেন্দ্রে থাকেন নুসরত। আর এর মধ্যে যেটা নিয়ে অভিনেত্রী সবচেয়ে বেশি কটাক্ষের শিকার হন তা হল মাথায় সিঁদুর ও হাতে শাখা-পলা পরা নিয়ে।
সম্প্রতি নুসরত জাহান তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে যে ছবি দিয়েছেন, তাতে দেখা গিয়েছে যে নুসরত কমলা শেডের শাড়ি পরেছেন, কানে বড় সাইজের দুল ও কপালে লাল টিপ। তবে সকলের নজর কেড়েছে নুসরতের সিঁথিতে ছোট্ট করে সিঁদুর। আর এই পোস্ট দেখার পরই অভিনেত্রীকে নিয়ে রীতিমতো ট্রোল শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তিনি ইসলাম ধর্মের মানুষ হয়ে কেন সিঁদুর পরেছেন আবার অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে তিনি কি যশকে বিয়ে করে নিয়েছেন। যদিও এইসব প্রশ্নের কোনও জবাবই দেননি অভিনেত্রী।
তবে নুসরতের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে চোখ রাখলেই দেখান যাবে যে অভিনেত্রীর একাধিক ছবিতেই তিনি কিন্তু সিঁদুর পরে রয়েছেন। এমনকী বাঙালিদের মতো হাতে শাখা-পলাও পরে আছেন অভিনেত্রী। নুসরতের এই লুকস নিয়ে আগেও তাঁকে কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে। গত বছর পুজোর সময়ও তাঁর একমাথা ভর্তি সিঁদুর দেখে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। সেই সময় অনেকেই নুসরতকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তিনি কি যশের নামে এই সিঁদুর পরেন। যদিও এইসব ট্রোলকে কোনওদিনই পাত্তা দেননি অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, গত বছর পুজোর পরপরই নিজেকে যশের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন নুসরত। যদিও বিয়েটা কবে কোথায় হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তিনি কখনই জানাননি। আর তা নিয়ে এখনও বিতর্ক জারি রয়েছে। নিখিল জৈনের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই নুসরত ও যশ একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ২০২১ সালে নুসরতের পুত্র জন্ম নেওয়া নিয়েও কম বিতর্ক শুরু হয়নি। তার পিতৃ-পরিচয় নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল। পরে বার্থ সার্টিফিকেটটাই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় ঈশান আসলে যশের সন্তান।
তবে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আপাতত যশের সঙ্গে তাঁর সুখের সংসার। তাঁদের ছেলে ঈশান তো আছেই, যশের প্রথম পক্ষের ছেলে রিয়াংশও তাঁদের সঙ্গেই থাকে বলে খবর। সব মিলিয়ে নুসরত ও যশ এখন চুটিয়ে দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন।