আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তপ্ত গোটা দেশ সহ বাংলা। ঠিক তখনই আন্দোলনরত ডাক্তারদের নিয়ে বেফাঁস কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। আর কাঞ্চনের করা এই মন্তব্যের জেরে টলি পাড়ায় তাঁর বন্ধু-সহকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিধায়ক-অভিনেতার দিক থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই চলছে কাঞ্চনকে গাল-মন্দ করা। আর এই পরিস্থিতিতে অভিনেতা-বিধায়কের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন তাঁর স্ত্রী ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীময়ী জানালেন প্রেম থেকে বিয়ে নিয়ে তাঁকে ও কাঞ্চনকে কম হেনস্থার মুখে পড়তে হয়নি।
এই বছরের মার্চ মাসে সামাজিক মতে বিয়ে করেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের একাধিক কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ে খুব একটা চিন্তিত তাঁরা ছিলেন না। তবে এইবার যখন কাঞ্চনকে ট্রোল করা হচ্ছে তখন আর চুপ থাকতে পারলেন না শ্রীময়ী। কাঞ্চন-পত্নী ফেসবুকে লিখলেন, আমি কখনই কারোর ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনা। আজ বাধ্য হয়ে লিখলাম। আমার প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত,কিছু মানুষের কাজই ছিল বা আছে, সমাজমাধ্যমে তাদের মতামত দেওয়া অযাচিত ভাবে। তারা সমাজমাধ্যমে type করতেই বসে আছেন,সুযোগ পেলেই লেখা শুরু, কারোর bedroom নিয়ে কথা বলার আগে, নিজের বেডরুমের দরজার ফুটোটা দেখা উচিত।
শ্রীময়ী এক অভিনেত্রীর কমেন্ট নিয়ে বলেন, একজন অভিনেত্রী লিখেছেন যে কিছু কিছু মানুষ রগর আর বিয়ে করার জন্য জন্মায়, আমি তার উদ্দেশ্যে বলব যে সে তো তাও সেই মানুষগুলো তো তাও বিয়ে করার জন্য জন্মেছে , আর কিছু মানুষ রয়েছেন যারা আজকে হয়তো দল বদল করেছে, একটা সময় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, দামী দামী গিফট নেওয়া,ঘুরতে যাওয়া, প্রেম প্রেম খেলা করা সবই করেছেন শুধু বিয়েটা না করে অবৈধ প্রেম গুলো চালিয়ে গেছে। সেই সময় তো এত সমাজ মাধ্যম ছিল না এবং এবং যে বন্ধুগুলো সাক্ষী ছিল সেই বন্ধুগুলো সমাজমাধ্যমে এত ভাল করে গুছিয়ে লিখতে পারত না তাই জন্য they should feel very lucky....আগে নিজের মেরুদন্ড সোজা রাখুক,তারপর অন্যের মেরুদন্ড দেখবে।
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনের মন্তব্যের পর টলিউডের একাংশ তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ-বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। আর সেখানেও নেটিজেনদের একাংশ কাঞ্চনকে খারাপ কথা বলতে পিছুপা হননি। অনেকেই বলেছেন যে কাঞ্চন শুধু প্রেম আর বিয়েতেই রয়েছেন। তবে শুধু এখন নয়, এর আগেও কাঞ্চনকে এই ধরনের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল। রবিবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত চিকিৎসকেদের উদ্দেশে কাঞ্চনের মন্তব্যে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। তার পরই টলিপাড়ার অন্দরেই তৃণমূলের বিধায়ককে কেন্দ্র করে একাংশের ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।