আজও বাংলা ব্যান্ডের তালিকায় ফসিলস ও রূপম ইসলাম এক আলাদা মাত্রা যোগ করে। রূপম ইসলামের শো মানেই সেখানে তাঁর অগুণিত ভক্ত আসবে এটাই স্বাভাবিক। বছরের প্রথমদিনেই এই বছরের কনসার্টের গোটা তালিকা শেয়ার করেছিলেন রূপম ইসলাম(Rupam Islam)। সেই মতো মঙ্গলবার রূপম তথা ফসিলসের প্রথম কনসার্ট ছিল মধ্যমগ্রামে। কিন্তু প্রথম কনসার্টই ভেস্তে গেল। শুধু তাই নয়, পুলিশও এল গায়কের কনসার্টে। আর রূপম ইসলামের শো ঘিরে গণ্ডগোল, পুলিশের লাঠিচার্জ, শেষে বন্ধ করতে হল ফসিলসের প্রথম কনসার্ট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রামের চৌমাথায় আয়োজন করা হয়েছিল এই কনসার্টের। বছরের প্রথম রূপমের এই শো ঘিরে ছিল ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ভক্তদের ভিড় জমতে শুরু করে এখানে। তার ওপর এই শো-তে ছিল না কোনও টিকিটের ব্যবস্থা। ওপেন টু অল হওয়ার কারণে পিল পিল করে লোক ঢুকতে শুরু করে দেয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে মাঠের ভিতরে যত না লোক তার চেয়েও বেশি মাঠের বাইরে লোক জমায়েত হতে থাকে। যার ফলে রাস্তা কার্যত বন্ধ এবং বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।
৬০০০ লোক দাঁড়িয়ে গান শুনতে পারবেন এমন জায়গায় পৌঁছে যায় ১১০০০ শ্রোতা-দর্শক। সমস্যা এতটাই বাড়তে থাকে যে পুলিস এসে গান গাইতে বন্ধ করতে বলেন রূপম ইসলামকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কনসার্ট বন্ধ করতে বলা হয়। যার ফলে ২ টো গান গেয়েই মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন রূপম। আর এতেই ক্ষেপে ওঠেন গায়কের ভক্তরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। ফসিলস-এর কনসার্টে ভিড় হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ রূপম ইসলামের ফ্যান ঘরে ঘরে। কিন্তু মঙ্গলবার পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল।
মধ্যমগ্রামের অনুষ্ঠানের বিশৃঙ্খলার কথা শেয়ার করেছেন রূপম নিজেই। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি রূপসার একটি পোস্টের কথাই তুলে ধরেন যেখানে রূপসা লেখেন, ‘প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ কনসার্ট শুনতে ঢুকছেন। দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, আমাদের শেষ গান। রাস্তা থেকে দাঁড়িয়েও মানুষ সেই গান শুনছে। কিছু গান গাওয়ার পরেই পুলিস এসে আমাদের পারফরম্যান্স থামাতে বলেন। কিন্তু গান থামাতেই রেগে যান শ্রোতারা। তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। তখন পুলিস এসে বলেন, দুটো গান গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে দিতে। আমরা হাসনুহানা ও অ্যাসিড গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করি। ’ রূপসা আরও লেখেন, ‘৬ হাজার দর্শক থাকতে পারে এমন একটি জায়গায় ১১ হাজারের বেশি দর্শক ছিল। কার্যত লাঠিচার্জের পরও অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে থাকা দর্শকরা সেখান থেকে যেতে অস্বীকার করেন। এখানে অবশ্যই যোগ করতে হবে - কারণ রূপম ইসলাম একজন শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি এখনও নিজেকে একজন শিক্ষক মনে করেন, তাই তিনি এত বিশাল জনতাকে সামলাতে পারেন এবং তাদের বুঝতে পারেন কিভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। গতকাল অনুষ্ঠানস্থলে বড় বড় অস্থায়ী পিলার ছিল এবং গান গাওয়ার সময় রূপমের উপস্থিত বুদ্ধি না থাকলে এবং শ্রোতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিশেষ পদ্ধতি না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত’।