অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একেবারে অন্য ধরনের এক ওয়েব সিরিজ আসতে চলেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকার একটি ছোট্ট গ্রামের গল্পকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন এই ওয়েব সিরিজ। আর এই সিরিজের মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে শন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sean Banerjee) ও তৃণা সাহা (Trina Saha)-কে। বুধবারই এই সিরিজের ফার্স্ট লুক সামনে এসেছে।
নতুন এই সিরিজের নাম পিলকুঞ্জ। উত্তর ভারতের ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকার একটি ছোট্ট গ্রামকে ঘিরেই এই সিরিজের গল্প। ২০১৭ সালে এই রাজ্যে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এই সিরিজ। গল্পের প্রেক্ষাপট উত্তর ভারতের একটি ছোট গ্রাম। যেখানে বাঘের হাতে প্রায়শই নিহত হতে হয় গ্রামবাসীদের। এই সব ঘটনা নিছকই কাকতালীয় নাকি এর মধ্যে রয়েছে কোনও মারাত্মক পরিকল্পনা?
সেই রহস্য উদঘাটন করতে কলকাতা থেকে ছদ্মবেশে ওই গ্রামে পৌঁছান সাংবাদিক সিদ্ধার্থ। তিনি পরিচয় নেন একজন ফটোগ্রাফারের। এই চরিত্রেই দেখা যাবে শন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই অভিযানে গ্রামে গিয়েই সিদ্ধার্থর আলাপ হয় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসকের সঙ্গে। নাম বিদিতা। এই চরিত্রেই দেখা যাবে তৃণাকে। সিদ্ধার্থের সঙ্গে রহস্য সমাধানে জড়িয়ে পড়ে এই বিদিতাও।
পরিচালক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে আজও স্মৃতিরোমন্থন করে শিউরে ওঠেন, যারা উত্তর ভারতের গ্রামে সেই ভয়াবহ ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে এই ভয়াবহ ঘটনার ওপরই তিনি সিরিজ তৈরি করবেন। এই সিরিজে শন ও তৃণা ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শঙ্কর দেবনাথ, জয়ী দেবরায়, দেবতনু, বৃষ্টি রায়, সোহম গুহা পত্তাদার, প্রতীক রায়, সৌরভ সাহা, পালওয়াল চক্রবর্তী, গৌতম মৃদ্ধা। এই সিরিজ প্রযোজনা করছেন ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালনা, চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফী, সম্পাদনা ও আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন পরিচালক স্বয়ং। শব্দবিন্যাস তীর্থঙ্কর মজুমদার ও ভিসুয়াল এফেক্স, রজত দলুই।
সিরিজের গভীর জঙ্গলের অংশ শুট হয়েছে ঝাড়খণ্ডের দুমকাতে। আর পাহাড়, জলপ্রপাত, নদীর অংশের শুট হয়েছে মাসাঞ্জোরে। ভিএফএক্সের বাঘের পাশাপাশি শুটে অংশ নিয়েছে সত্যিকারের বাঘও। প্রকৃতির প্রতিকূলতা, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সব বিপত্তি উপেক্ষা করে দুর্গম জঙ্গলে অনবরত শুটিং করেছেন পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। শনের কথায়, বাঘের তাড়া খাওয়া মানুষ পরিপাটি থাকতে পারে না। চেহারায় সেই ভাব ফোটাতে টানা কয়েক দিন খাইনি, ঘুমোইওনি। গাছের মগডালে উঠে শট দিয়েছি। মাথা যেখানে রেখেছিলাম সেখানে পাহাড়ি ডেঁয়ো রাক্ষুসে পিঁপড়ের বাসা! দৃশ্য জীবন্ত করতে সারা গায়ে পাঁক, কাদা মেখেছি। আমার পক্ষে যতটা নিংড়ে দেওয়া সম্ভব ততটাই করেছি। আগামী মাসে স্ট্রিমিং হবে এই সিরিজ।