scorecardresearch
 

Sudipa Chatterjee: রথের দিনই কুমোরটুলিতে ঠাকুরের বায়না দিলেন, পুজোর তোড়জোড় শুরু সুদীপার বাড়িতে

Sudipa Chatterjee: রথের রশিতে টান মানেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। প্রতিবছর এই রথের দিনই একাধিক ক্লাবগুলি খুঁটিপুজোর আয়োজন করে। বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি বাড়ির পুজোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে যায়। আর সেই তালিকায় রয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement
সুদীপা চট্টোপাধ্যায় সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • রথের রশিতে টান মানেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু।

রথের রশিতে টান মানেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। প্রতিবছর এই রথের দিনই একাধিক ক্লাবগুলি খুঁটিপুজোর আয়োজন করে। বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি বাড়ির পুজোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে যায়। আর সেই তালিকায় রয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সুদীপা-অগ্নিদেবের বাড়িতে বহু বছর ধরেই পুজো হয়ে আসছে। শহর কলকাতার বাড়ির পুজোগুলোর মধ্যে সুদীপার বাড়ির পুজো অন্যতম। তাই রথের দিন জগন্নাথ দেবের পুজোর পরই তাঁর বাড়ির পুজোর আচার-নিয়ম শুরু করে দেন তিনি। 

সুদীপার বাড়িতে রথের দিন কুমোরটুলিতে তাঁদের বাড়ির কাঠামোপুজো হয়। জগন্নাথদেবের পুজোর পর কুমোরটুলিতে গিয়ে পুজোর বায়না দেওয়ার চল সুদীপার বাড়িতে বহু বছর ধরেই হয়ে আসছে। অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার বাড়ির রীতি মেনে রথের দিন জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগের অন্যতম কণিকা ভোগ বা বিশেষ ভাবে বানানো মিষ্টি পোলাও নিবেদন করা করা হয়। সুদীপা এর আগেও জানিয়েছিলেন যে জগন্নাথদেব পুরীর রথে আসীন হলেই বাড়ির বিগ্রহের কাছে অনুমতি নিয়ে তাঁরা কুমোরটুলির উদ্দেশে রওনা দেন। 

সেখানেও কিছু বিশেষ নিয়ম মানেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। যা তাঁদের একান্ত নিজস্ব। যেমন, কাঠামোপুজোর আগে প্রথমে দেব বিশ্বকর্মার অনুমতি প্রার্থনা করা হয়। তার পর মন্ত্রোচ্চারণ করে আবাহন করা হয় মাকে। মায়ের কাঠামো পূজিত হয় মালা, ফুল দিয়ে। এর পরেই গঙ্গা নিমন্ত্রণ। এ সবের পালা মিটলে নিজের হাতে কাঠামোয় প্রথম মাটি দেন অগ্নিদেব। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা গড়েন শিল্পী পশুপতি রুদ্র পাল। তাঁর কর্মশালাতেই এ দিন কাঠামোপুজো হয়। অর্থাৎ এক কথায় বলা চলে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা হলেন সুদীপা ও অগ্নিদেব। বাংলাদেশ থেকে এই পুজো চলে এসেছে এপার বাংলায়। গত ১২ বছর ধরে এউ বাড়িতেই মা পূজিত হন একেবারে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে।  ষষ্ঠী টু সপ্তমী সেখানে তারকাদের ভিড় লেগে থাকে। সুদীপার বাড়ির পুজোয় মাকে মাছ-মাংস ভোগ দেওয়া হয়। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতোই চারটে দিন থাকেন উমা। পুজোতে সুদীপার ব্যস্ততা থাকে একেবারে তুঙ্গে। ভোগ রান্না থেকে পুজোর আয়োজন সবটাই তিনি নিজের হাতে করে থাকেন। 

Advertisement

দিন কয়েক আগেই গো-মাংস রন্ধন বিতর্কে তোলপাড় হয়েছিল উপস্থাপক সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের জীবন। বাংলাদেশের এক রান্নার শো’য়ে উপস্থাপকের পাশে দাঁড়িয়ে গো-মাংস রান্না দেখার কারণে সমাজের অধিকাংশের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ঘটনায় হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েও লাভ হয়নি। মাঝে মাঝেই সুদীপাকে ট্রোলের মুখে পড়তে হয়। তবে এইসব কিছু নিয়ে সেভাবে চিন্তা-ভাবনা না করে তিনি নিজের শো সুদীপার সংসার-এ মন দিয়েছেন।    

Advertisement