কিছুদিন আগেই টলিপাড়ার সমস্যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কাটতে না কাটতেই নাট্যকার দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের করা দুটি পোস্ট রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে নাট্য জগতে। যেখানে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে তাঁর নাট্যদলের অনুদান নাকি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর এই পোস্টের পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক কমেন্ট আসতে শুরু করে দেয়।
নাট্যদল সংসৃতির কর্ণধার তথা জনপ্রিয় নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় দুদিন আগে তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে আমার গ্রান্ট বন্ধ করলেন। গ্রান্ট বন্ধ করে আমার থিয়েটার আটকানো যায় না। আমি গ্রান্টের জন্য থিয়েটার করি না। থিয়েটার করি বলে গ্রান্ট পেতাম। মোদী-র সোনান পাখি ওড়াতে পারব না। খোক্কস-এর পরবর্তী অভিনয় ২৫ অগাস্ট মধুসূদন মঞ্চে সন্ধে সাড়ে ছটায়। শনিবারও দেবেশ চট্টোপাধ্যায় ফের তাঁর ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে কেন্দ্র সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক অদ্ভুত কিছু যুক্তি দেখিয়ে বাংলার প্রতিনিধিস্থানীয় নাট্যদলগুলির রেপাটারি অনুদানের পুনর্নবীকরণ বন্ধ করলো। এই পোস্টে দেবেশ এও জানিয়েছেন যে ৫ অগাস্ট সোমবার অনেক নাট্যদল মিলে প্রেসক্লাবে এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রাখবেন।
অনেকেই দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের এই পোস্টকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা শেয়ার করেছেন। এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ১ অগাস্ট এই তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্র সরকার। সারা দেশের একাধিক নাট্যদলের ওপরই কেন্দ্রের কোপ এসে পড়েছে। যার মধ্যে কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে এ রাজ্যের ৩০টি দল রয়েছে। আগামী ৫ অগস্ট সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের একাধিক নাট্যদল এই বিষয়ে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরবে। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেও তারা যেতে রাজি, এমন আঁচও পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ফেডারেশনের সঙ্গে বাংলা এক পরিচালকের কোন্দল নিয়ে টলিপাড়ায় দুদিন শ্যুটিং বন্ধ করা হয়। যার খবর পৌঁছায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই বিষয়টি সমাধান হয় এবম বুধবার থেকেই কেটে যায় টলিপাড়ার অচলাবস্থা। জারি করা হয় বেশ কিছু নতুন নিয়মও। গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি।