চাইনিজ কাট চুল, পরনে ফ্রক, চোখে টানা কাজল, গালে আঙুল দিয়ে আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে ছোট্ট মেয়ে। আর একটি ছবিতেও পোজ এক, তবে ঘাগরা পরে সেই ছবি তোলা হয়েছে আর তৃতীয় ছবিতে সেই ছোট্ট মেয়েটি নাচের ভঙ্গিমায়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন এই তিন ছবি ঘোরাফেরা করছে। এই তিনটে ছবি টলিউড অভিনেত্রী তথা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় এক অভিনেতার স্ত্রীয়ের ছোটবেলাকার ছবি। ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় তথা প্রসেনজিতের স্ত্রী এই ছবিগুলি শেয়ার করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
১৪ নভেম্বর চিলড্রেনস ডে-এর দিন নিজের ছোটবেলার স্মৃতিতে ভাসলেন অর্পিতা। তাঁর এই তিন ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে অর্পিতা লিখেছেন, ছোটবেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এরপর তিনি সকলকে চিলড্রেনস ডে-এর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। অভিনেত্রী একেবারেই নিজের জগতে বিচরণ করেন। খুব একটা টলিউডের পার্টিতে তাঁকে দেখা যায় না। নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অর্পিতা। যদিও বহুদিন তাঁকে বড়পর্দায় দেখা যায়নি। তাঁর অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসিত ইন্ডাস্ট্রিতে।
অর্পিতা ছোটবেলা থেকেই নাচে পারদর্শি। ১৯৯৯ সালে অর্পিতা প্রভাত রায় পরিচালিত তুমি এলে তাই ছবির মাধ্যমে টলিউডে প্রবেশ করেন। এরপর একাধিক সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে অভিনয় করতে। প্রসেনজিতের সঙ্গেও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন অর্পিতা। সেখান থেকেই তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত। এরপর প্রসেনজিতের দ্বিতীয় ডিভোর্সের পরই অর্পিতাকে বিয়ে করেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ও প্রসেনজিৎ-এর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন কম নেই। খুব বেশি একফ্রেমে ধরা দেন না প্রসেনজিৎ-অর্পিতা। ‘প্রসেনজিৎ ঘরণী’ তকমা তাঁর মোটেই পছন্দ নয়, সে কথা বহুবার প্রকাশ্যে বলেছেন অর্পিতা। তবে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রসেনজিতের সঙ্গে দেখা যায় অর্পিতাকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একসঙ্গে খুব একটা ছবি দিতে পছন্দ করেন না অর্পিতা। ২০০২ সালে অর্পণা গুহঠাকুরতার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার পর সহকর্মী অর্পিতা পালকে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। দেখতে দেখেত দাম্পত্যের দু-দশক পার করে ফেলেছেন এই জুটি।
সারাবছর বাড়িত না থাকলেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন বালিগঞ্জের বাড়িতে চলে আসতে দেখা যায় অর্পিতাকে। এ বছরও একসঙ্গে প্রসেনজিৎ ও অর্পিতা লক্ষ্মীপুজো করেন একসঙ্গে। এইদিন তাঁদের একফ্রেমে দেখা যায়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হল না।