টলিপাড়ায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ফেলুদা হিসাবেই পরিচিত। তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ দর্শক কম নেই। টলিউডে একের পর এক সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ইন্দ্রনীল তাঁর পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছেন। মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও ইন্দ্রনীল কিন্তু পুরোদস্তুর বাঙালি হিরো। এই শহরের সঙ্গে তাঁর শিকড়ের যোগ রয়েছে। তাই এই শহরের খাবারও তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। কলকাতাবাসীর প্রিয় খাবারের তালিকার মধ্যে রয়েছে ফুচকা। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে এই ফুচকা খেতে ভালোবাসেন। বাদ নেই ইন্দ্রনীলও। তিনিও এই ফুচকা খেতে দারুণ পছন্দ করেন।
একেবারে রাস্তার ধারেই ফুচকা খেতে দেখা গেল ইন্দ্রনীলকে। সঙ্গী হিসাবে তিনি পেয়েছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে। ইন্দ্রনীল যে ভিডিও শেয়ার করেছেন সেখানে ফুচকার আলু মাখা থেকে শুরু করে তাঁদের ফুচকা খাওয়া সবটাই রয়েছে। পরিচালক শালপাতায় করে ফুচকা খেলেও ইন্দ্রনীল হাতে করে জল ছাড়া ফুচকা খেলেন। কিছুদিন আগেই ৫০ বছরে পা দিয়েছেন পর্দার ফেলুদা। তবে তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি ৫০ বছরের। নিজেকে দারুণভাবে ফিট রেখেছেন ইন্দ্রনীল। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে অভিনেতার শরীরচর্চার ভিডিও।
সন্দীপ রায় পরিচালিত সত্যজিৎ রায়ের গল্প নয়ন রহস্য-তে ফেলুদা হিসাবে দেখা গিয়েছিল ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। সেই সময়ই ফিটনেস ফ্রিক অভিনেতা জানিয়েছিলেন তিনি খেতে কতটা ভালোবাসেন। আর সন্দীপ রায়ের বাড়িতে গেলেই ইন্দ্রনীল সব ডায়েট ভুলে খেতে শুরু করে দেন। টলিউডের সঙ্গে বলিউডেও সমানতালে কাজ করছেন ইন্দ্রনীল। কিছুদিন আগেই কাজলের সঙ্গে একটি ছবির শ্যুটিং সেরে নিয়েছেন। তাঁকে দেখা যাবে পরিচয় গুপ্ত ছবিতে। তবে আরজি কর-কাণ্ডের আবহে এই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত তাঁদের ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনে এখন আলাদাই থাকেন। একসময় তাঁরা পাওয়ার কাপল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু শোনা যায় অভিনেত্রী ইশা সাহার সঙ্গে সম্পর্র গড়ে ওঠার কারণে বরখার সঙ্গে দুরত্ব বাড়ে ইন্দ্রনীলের। যদিও অভিনেতার সঙ্গে ইশার সেই সম্পর্ক টেকেনি। এখন মেয়ে মায়রাকে নিয়েই ইন্দ্রনীলের সব স্বপ্ন। মেয়ে মায়ের কাছে থাকলেও মাঝে মাঝেই তাঁকে দেখা যায় বাবা ইন্দ্রনীলের সঙ্গে সময় কাটাতে। মেয়ে ও বাবার সম্পর্ক যে দারুণ তা দেখলেই বোঝা যায়।