টলিপাড়ায় এখনও হার্টথ্রব জিৎ। তিনি পর্দায় আসলে একের পর এক সিটি-হাততালি হল মুখরিত হয়ে যায়। অবাঙালি হয়েও বাঙালি দর্শকদের মন জয় করতে একটুও সময় লাগেনি অভিনেতা জিৎ ওরফে জিতেন্দ্র মদনানীর। জিৎ বরাবরই কর্মাশিয়াল ছবিতে নিজের ক্যারিশ্মা দেখিয়ে এসেছেন। জিৎ-এর ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সাথী সিনেমার মাধ্যমে জিৎ টলিউডে পা রাখলেও অনেকেই জানেন না যে এটা জিৎ-এর প্রথম সিনেমা নয়।
কলকাতার ছেলে জিৎ-এর বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবই এই শহরেই। গ্র্যাজুয়েটের পর জিৎ পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিলেও তাঁর মন পড়েছিল অভিনয়ের দিকেই। এরপর জিৎ বেশ কিছু সিরিয়ালে কাজ করলেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পান না। এরপর অভিনেতা মুম্বই যান এবং ৫ বছর সেখানে থাকেন। ফিরে এসে কিছু ইংরেজি নাটকে অভিনয় করেন। তবে কিছুতেই সন্তুষ্ট হন না। এরপর আবার মুম্বই যান এবং ২০০১ সালে দক্ষিণ ভারতীয় পরিচালকের হাত ধরে তেলেগু ছবি 'চাঁদু'-তে কাজ করেন জিৎ। এটাই তাঁর বড়পর্দায় ডেবিউ ছবি। তবে এই ছবিটিও তাঁকে জনপ্রিয়তা দিল না, যেমনটা তিনি আশা করেছিলেন।
২০০১ সালের অক্টোবরে তিনি আবার কলকাতায় আসেন এবং পরিচালক হারানাথ চক্রবর্তীর কাছ থেকে দেখা করার প্রস্তাব পান এন.টি.ওয়ান. স্টুডিওতে। তাঁর কাছ থেকে তিনি ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাথী ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। এই সিনেমার পর জিৎ-কে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে গিয়েছেন জিৎ। বস, ১০০% লাভ, দুই পৃথিবী, আওয়ারা, বুমেরাং, নাটের গুরু, পাওয়ার, অভিমান, শত্রু, রাবণ, বন্ধন সহ একাধিক হিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
শ্রাবন্তী, কোয়েল, নুসরত ফারিয়া, নুসরত জাহান থেকে শুরু করে রুক্মিণী, শুভশ্রী সকলের সঙ্গেই পর্দায় চুটিয়ে রোম্যান্স করেছেন জিৎ। এই মুহূর্তে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম জিৎ। নিজের প্রোডাকশন হাউসও খুলেছেন অভিনেতা। প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়তো জানেন না, জিৎ অবাঙালি। সিন্ধি পরিবারে জন্ম তাঁর। তবে বাঙালি দর্শকদের মন জয় করার জন্য এই ভাষা রপ্ত করে নিয়েছেন তিনি। এখন বাংলা ভাষায় একেবারে সড়গড় জিৎ।
২০১১ সালে লখনউয়ের শিক্ষিকা মোহনা রতলানিকে বিয়ে করেন জিৎ। তাঁদের এক কন্যাও রয়েছে। অভিনেতা জিৎ দ্বিতীয়বার বাবা হয়েছেন সেপ্টেম্বর মাসে। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে জিৎ-এর ভরপুর সংসার। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের সিনেমাতেও দেখা যাবে জিৎকে।