NOTIFICATIONS
19th Jun
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় 
টলিউডের শীর্ষ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সবসময়ই অভিনেতা কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে চর্চায় থাকেন। আর তাঁর ছেলে তৃষাণজিৎ স্টারকিড হওয়ার দৌলতে সর্বদাই লাইমলাইটে থাকেন। তৃষাণজিত ইন্ডাস্ট্রিতে মিশুক নামে পরিচিত। আর বাবার মতো ছেলেও কোনও না কোনও কারণে সবসময়ই শিরোনামে থাকেন। এবার ছেলের কীর্তিতে রীতিমতো গর্বিত প্রসেনজিৎ ও অর্পিতা দুজনেই। কিন্তু কী এমন করলেন মিশুক?
তৃষাণজিতের স্কুলজীবন কেটেছে ইউরোপে। তারপর দেশে ফেরেন মিশুক। কলকাতা নয়, দক্ষিণ ভারতের নামী প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছিলেন তৃষাণজিৎ। আর সেখান থেকেই স্নাতক হলেন মিশুক। ছেলের স্নাতকের শংসাপত্র পাওয়ার ভিডিও শেয়ার করেন প্রসেনজিৎ। ছেলের এই কীর্তিতে তিনি যে গর্বিত তা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রসেনজিৎ লেখেন, আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে। কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।
ভিডিওতে বন্ধুদের সঙ্গে মিশুককে খোশমেজাজে দেখা যাচ্ছে। তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নাম ঘোষণা হতেই মঞ্চের দিয়ে এগিয়ে যান তিনি। তার পর হাতে নেন গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট। ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার ফাঁকেই নিজের সার্টিফিকেটটি দেখে নেন তৃষাণজিৎ। বাবার মতোই হ্যান্ডসাম তৃষাণজিৎ। প্রথমে অভিনয়ে আসার ইচ্ছে নাকি তাঁর ছিল না। ফুটবলই ছিল ধ্যান আর জ্ঞান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ইচ্ছেও পালটায়। বিদেশে পড়াকালীনই নাটকে অভিনয় করেছেন তৃষাণজিৎ ।
প্রসেনজিতের এই পোস্টে টলিউডের অনেক অভিনেতারাই মিশুককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ছোট থেকেই ফুটবল খেলেন তৃষাণজিৎ। জন্মের পর থেকেই প্রসেনজিৎ-পুত্র প্রচারের আলো পেয়েছে। বাবার ছবির জন্য রিল বানানাো কিংবা অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সঙ্গে নাচ, তৃষাণজিৎ প্রচারের আলোতেই বেড়ে উঠেছেন। বাবার সঙ্গে প্রায়ই তাঁকে টলিউডের পার্টিতে দেখা যায়। ছেলের যে অভিনয় জগৎ নিয়ে একেবারেই চিন্তাভাবনা নেই, তেমনটা নয়। তবে পড়াশোনা শেষ করে তবেই কিছু করবেন মিশুক। মাঝে শোনা গিয়েছিল যে তৃষাণজিৎকে নাকি বড়পর্দায় দেখা যেতে পারে। তবে সেই বিষয়ে প্রসেনজিৎ বা মিশুকের পক্ষ থেকে কোনও কিছু জানানো হয়নি।
কিছুদিন আগেই তৃষাণজিতের প্রেম নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে জোরদার চর্চা শুরু হয়। তারকা পুত্রের সঙ্গে তাঁর এক বান্ধবীকে দেখা যাওয়ার পর থেকে মিশুককে নিয়ে চর্চা শুরু হয় জোরদার। যদিও তৃষাণজিৎ নিজে কোনওদিন এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
