টলিউডে মধুমিতা সরকার ডিভোর্সী বলেই পরিচিত। পাঁচ বছর আগেই মধুমিতা ও পরিচালক-অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মধুমিতা অন্যতম সিঙ্গল অভিনেত্রী। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই মধুমিতা রয়েছেন চর্চায়। সৌরভের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর মধুমিতাকে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে সিঁথিতে সিঁদুর পরে থাকতে। গণেশ পুজোর দিনও তাঁকে দেখা গিয়েছিল সিঁদুর পরতে আবার বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ও অভিনেত্রীর সিঁথিতে ছিল সিঁদুর। কিন্তু কার নামে সিঁদুর পরেন মধুমিতা? অভিনেত্রীর এই সিঁদুর পরা নিয়ে তাঁকে নিয়ে চর্চা রীতিমতো তুঙ্গে।
বরাবরই আধ্যাত্মিক মনোভাবের মধুমিতা। কাজের ফাঁকেই তাঁকে দেখা যায় পুজো-পাঠ করতে। শিবের পরম ভক্ত মধুমিতা সময় পেলেই চলে যান মহাদেবের কাছে। ইদানিং মধুমিতার সিঁথিতে সিঁদুর দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অভিনেত্রী কি তবে চুপিসারে বিয়ে করে নিলেন নাকি সৌরভের সঙ্গে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল? বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ই তাঁকে একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায় যে তিনি কেন সিঁদুর পরেন এই নিয়ে তাঁকে যেন কেউ কিছু জিজ্ঞেস না করেন। কারণ কেউ নাকি এই সিঁদুর পরার কারণ বুঝতে পারবেন না। এরপরই অভিনেত্রীর কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ে অনুরাগীদের প্রশ্ন।
কিন্তু কার নামে সিঁদুর পরেন মধুমিতা? এই নিয়ে অভিনেত্রী এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে তিনি সৌরভের নামে সিঁদুর পরেন না। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। শিবের ভক্ত। কোনও মন্দিরে পুজো দিতে গেলে আমি সিঁথিতে সিঁদুর পরি, দেব বিগ্রহে ছোঁয়ানো সিঁদুর, খুব সহজভাবেই সেটা পরি। প্রসঙ্গত, হিন্দু নারীরা বিয়ের পর স্বামীর নামেই সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। আর মধুমিতা বলছেন তিনি মন্দিরে পুজো দিতে গেলে বিগ্রহে ছোঁয়ানো সিঁদুর সিঁথিতে দেন। তবে মধুমিতা কোনও প্রচলিত বিশ্বাস ভাঙতে চান না। বিবাহিতদের সিঁদুর পরাকেও তিনি সম্মান জানান।
১৮ বছর বয়সেই বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন মধুমিতা সরকার। কিন্তু বিয়ের ৫ বছরের মাথাতেই স্বামী সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে সংসার ভাঙে তাঁর। মাঝে কিছু গুঞ্জন তাঁকে নিয়ে শোনা গেলেও এখন আপাতত সিঙ্গল মধুমিতা। শ্যুটিং থেকে সময় পেলেই তিনি বেড়িয়ে পড়েন পুজো দিতে। ছোট থেকেই শিবের ভক্ত মধুমিতা। দুদিন আগেই ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন মধুমিতা। অল্পের জন্য রক্ষা পান অভিনেত্রী।