বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র। তাঁর অভিনয় ইতিমধ্যেই সকলের মন জয় করেছে। কিন্তু সিঙ্গল অভিনেত্রীদের মধ্যে পার্ণোর নাম সবার আগেই আছে। এর আগে যদিও একাধিক সম্পর্কে অভিনেত্রী জড়িয়েছেন সেই নিয়ে টলিউডে কম চর্চা হয়নি। তবে সেগুলোর একটাও সেভাবে প্রমাণিত হয়নি। যদিও পার্ণোর ঘটকের কাজ করেছিলেন খোদ রাইমা সেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে রাইমা-পার্ণোর বন্ধুত্ব বহুদিনের। তাঁরা একসঙ্গে পার্টি-ক্লাবিং প্রায়ই করে থাকেন। দুজনকে একসঙ্গে একাধিক জায়গায় দেখাও যায়। সেই রাইমা সেনের মাধ্যমেই পার্ণোর জীবনে একসময় প্রেম এসেছিল। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রের খবর, পার্ণোর প্রেমিকের নাম ছিল রনি দেব। তিনি এক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। রাইমা ও রনি দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব বলে জানা যায়। সেই সূত্র ধরেই পার্ণোর সঙ্গে রনির পরিচয় হয়। রনি পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী। ২০১৮ সালের দুর্গাপুজো থেকে রনি ও পার্ণোর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শহরের একাধিক জায়গায় দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল।
যদিও পার্ণো-রনির সম্পর্ক হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। খুব ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক এগিয়েছিল বলে ইন্ডাস্ট্রি সূত্রের খবর। গল্পের বইয়ের পোকা পার্ণোকে রনি বই উপহার দিয়েছিলেন। সম্পর্ক এতটাই গভীরে চলে গিয়েছিল যে তাঁরা বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। পার্ণোর এই নতুন প্রেমের নাকি মধ্যস্ততা করেছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। রনি রাইমার প্রাক্তন প্রেমিক বিক্রম পুরির বন্ধু। যদিও রনি-পার্ণোর সম্পর্ক হঠাৎ করে কেন ভাঙল সেই উত্তর আজও অজানা। এর আগে পার্ণোর সঙ্গে নাম জড়ায় পরিচালক মৈনাক ভৌমিকেরও। কিন্তু তাঁরা বরাবরই তাঁদের ভালো বন্ধু বলেই দাবি করে এসেছেন।
সবকিছু মিলিয়ে আজও পার্ণো মিত্র সদা সিঙ্গল। অন্তত এমনটাই দাবী করেন অভিনেত্রী। নিজের কেরিয়ারের দিকেই এখন মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। রথের সময় তিনি পুরীতেও গিয়েছিলেন জগন্নাথ দর্শনে। হোমস্টে মার্ডার সিরিজে তাঁর অভিনয় বেশ নজর কেড়েছে। এখন পাকদন্ডী সিনেমাতেও দেখা যাবে পার্ণোকে। টেলিভিশন থেকে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। পরিচিতি পান রবি ওঝা নির্দেশিত খেলা ও মোহনা ধারাবাহিকে। এরপর অঞ্জন দত্তের রঞ্জনা আমি আর আসব না সিনেমা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করা পার্ণোকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।