সপ্তম ও শেষদফা ভোটের আগে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারে শোকের ছায়া। প্রয়াত রচনার শাশুড়ি। জানা গিয়েছে যে বেশ কিছুদিন ধরেই শাশুড়ির শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। অসুস্থ ছিলেন তিনি। আর শেষদফা ভোটের দিনই রচনার পরিবারে এল সেই দুঃসংবাদ। এর আগে অভিনেত্রী তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন।
স্বামী প্রবাল বসুর সঙ্গে এক ছাদের তলায় না থাকলেও তাঁদের ডিভোর্স হয়নি। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েই রচনা ডিভোর্সের পথে হাঁটেননি। তবে ইদানিং স্বামী প্রবাল বসুর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হতে শুরু করেছিল। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রচনা। ভোট প্রচারের সময় স্বামী প্রবাল বসুকে সবসময়ই তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল। ছোটখাটো সব বিষয় তদারক করছিলেন রচনার স্বামী। এমনকী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও রচনা পাশে পেয়েছিলেন তাঁর স্বামীকে। আর সপ্তম দফা ভোটের আগেই রচনা তাঁর শাশুড়িকে হারালেন। অভিনেত্রীর আক্ষেপ একটাই নির্বাচনের ফলাফল দেখে যেতে পারলেন না তাঁর শাশুড়ি। তবে রচনা আশাবাদী তাঁর জয় নিয়ে।
শনিবার রচনার আবাসন আরবানার কাছেই একটি স্কুলে দুপুর নাগাদ ভোটদান করবেন তিনি। শাশুড়ির সঙ্গে রচনার সম্পর্ক ছিল ভাল। গত বছরেই বাবাকে হারিয়েছেন নায়িকা। বাবাকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুব ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সে সময় রচনা ফেসবুকে লিখেছিলেন, বাবা তাঁর ফ্রেন্ডস ও ফিলোজফার ছিলেন। এবার আরও এক অভিভাবককে হারালেন তিনি।
বড়পর্দাকে অনেক বছর আগেই বিদায় জানিয়েছিলেন রচনা। তবে ছোটপর্দায় দিদি নম্ব ১ শো তাঁকে আরও একবার জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। সাধারণ গৃহবধূ থেকে তারকা, সকলেই দিদি রচনাকে দারুণ পছন্দ করেন। এই শো-তে মুখ্যমন্ত্রী এসেও রচনার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে গিয়েছেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন রচনা। তাঁর এই জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণে তাঁকে হুগলি কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয়। প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি রচনা। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন বিজেপির লকেট বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন সবার নজর ৪ জুনের দিকে, সেইদিনই বোঝা যাবে কার পাল্লা ভারী।