মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। শনিবার তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যাচ্ছে, পূর্ব বান্দ্রায় ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে বাবা সিদ্দিকির উপর গুলি চালায় তিনজন। বলিউড তারকাদের খুবই কাছের মানুষ ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। তাঁর ইফতার পার্টি মানেই সেখানে চাঁদের হাট। আর এই ইফতার পার্টিতে বাবা সিদ্দিকির আমন্ত্রিত তারকাদের তালিকায় থাকতেন এই বং নায়িকা।
এখন যাঁর কথা বলা হচ্ছে তাঁর ছবি পুজোতে মুক্তি পেয়েছে। তাঁকে বং ক্রাশ বলা হয়। এতক্ষণে বুঝেই গেছেন কার কথা বলছি। কথা হচ্ছে ঋতাভরী চক্রবর্তীকে নিয়ে। বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে ঋতাভরীর আমন্ত্রণ সব সময়ই থাকত। ইফতারের সেই চাঁদের হাটে ঋতাভরীকেও দেখা যাচ্ছিল বেশ কয়েকবছর ধরেই। রমজানে বলিউডের তারকাদের জন্য বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টির আয়োজন যেন রীতি হয়ে গিয়েছে। তবে মুম্বইয়ের পার্টিতে শুধু যে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা থাকেন এমনটা মোটেও নয়। পার্টিতে তাবড় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নামজাদা ব্যবসায়ী, প্রায় সকলেই উপস্থিত।
কীভাবে পরিচয় বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে ঋতাভরীর? আসলে সিদ্দিকির মেয়ে আরশিয়া ঋতাভরীর বন্ধু হন। ছেলে জিশানও ঋতাভরীকে চেনেন। ঋতাভরী ও আরশিয়া খুবই কাছের বন্ধু। সেই সুবাদেই বাবা সিদ্দিকির পরিবারের সঙ্গে চেনাজানা অভিনেত্রীর। গত তিনবছর ধরে ঋতাভরী সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে যাচ্ছেন। ঋতাভরী এই বছরও গিয়েছিলেন ইফতার পার্টিতে। সেখানে গিয়ে বিরিয়ানি, হালিম সব খেয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঋতাভরী ছবি পোস্ট করেছিলেন সিদ্দিকির সঙ্গে। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে শাহরুখ-সলমনের সঙ্গে, আবার কখনও বা প্রীতি জিন্টার সঙ্গে ছবি তুলছেন আবার কখনও বা আরশিয়ার সঙ্গে সেলফি। ঋতাভরীর কথায় তিনি এই ইফতার পার্টিতে যেতে খুবই পছন্দ করেন। সেখানকার লোকজন, বাবা সিদ্দিকির আতিথেয়তা সবটাই মুগ্ধ করত ঋতাভরীকে। কলকাতায় ফিরে এসেও মন পড়ে থাকত মুম্বইতে। তবে এবার থেকে ইফতারের পার্টিতে গেলেও সেই হাসিমুখটা দেখতে পারবেন না ঋতাভরী।