অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে টলিপাড়ায় চর্চা কম নেই। খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয় স্বস্তিকার। কিন্তু সেই বিয়ে ছিল না সুখের। কোলে মেয়ে নিয়েই স্বস্তিকা শ্বশুড়বাড়ি ছাড়েন এবং এরপরই টলিউডে তিনি নতুন করে কেরিয়ার শুরু করেন। আর সেখানেই জিৎ-এর সঙ্গে সম্পর্কের শুরু। তবে সেই সম্পর্ক পরিণতি পাইনি। কিন্তু এতবছর পর আবার জিৎ-এর প্রতি অভিনেত্রীর পুরনো প্রেম মনে পড়ে গেল। ৩০ নভেম্বর জিৎ-এর জন্মদিনে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েও মুছে দেন স্বস্তিকা। কী লিখেছিলেন সেই পোস্টে?
জিৎ-এর জন্মদিনের মধ্যরাত পেরোনোর পর স্বস্তিকা তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট লেখেন। তিনি লেখেন, 'জীবনের প্রথম প্রেমের আজ জন্মদিন ছিলো/আছে। ১২ টা বেজে গেল। কিন্তু হিন্দু মতে সূর্যোদয় অবধি সময় থাকে। সূর্যোদয় না হওয়া অবধি আজ ৩০ নভেম্বর। শুভ জন্মদিন প্রথম প্রেম। সব যায়। স্মৃতিটুকু রয়ে যায়। যত বয়স বাড়ছে তিক্ততা ভুলে ভালবাসাটুকুই আগলে রেখে বেঁচে থাকার তাগিদ বাড়ছে। অন্যজনেরা মনে রাখছে না রাখছেনা সেটা জরুরি নয়। নিজের মনে রইলেই হল। মন সব রেখে দেয়। আমিও তাই মনে রেখে দিলাম'। এই ক্যাপশনের সঙ্গেই জিতের সঙ্গে অভিনীত 'ক্রান্তি' ছবির একটি গান শেয়ার করেন স্বস্তিকা।
স্বস্তিকা বরাবরই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলতেই ভালোবাসেন। আর এখানেও অভিনেত্রী তাঁর প্রথম প্রেমের কথা অকপটেই জানিয়েছেন। যদিও পরে, সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলেন তিনি। তবে এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি হয়ত এই প্রথমবার জিৎ-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কবুল করে নিয়েছিলেন। টলিপাড়ায় জিৎ-স্বস্তিকার সম্পর্ক ছিল একেবারে ওপেন সিক্রেট। মস্তান ছবিতে জিতের বিপরীতে প্রথম কাজ স্বস্তিকার। তখন সদ্য স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ। প্রথমে বন্ধুত্ব। তবে ভালোবাসা থাকলেও, সংসার বাধা হয়নি। যার কারণ নিয়ে নানা কথা। যদিও দুজনের মধ্যে কেউই সেসব কখনো সামনে আনেননি।
জিৎ-স্বস্তিকার সম্পর্ক কেন ভেঙেছিল, তা নিয়ে অনেক জল্পনা শোনা যায়। কেউ বলেন, স্বস্তিকার বিবাহিত তকমা, এবং এক সন্তানের মা হওয়াই নাকি কাল হয় এই সম্পর্কে। অন্যদিকে কেউ বলেন, জিৎ-স্বস্তিকার মাঝে ঢুকে পড়েছিলেন অন্য এক নায়িকা। এমন কথাও শোনা যায়, কেরিয়ার ছেড়ে জিতের সঙ্গে ঘর বাঁধতে রাজি হননি স্বস্তিকা। স্বস্তিকার সঙ্গে ব্রেকআপের বেশ কয়েক বছর পর ২০১১ সালে মোহনা রতলানিকে বিয়ে করেছিলেন জিৎ। অপরদিকে স্বস্তিকার সঙ্গে নাম জড়ায় একাধিক টলিপাড়ার ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে।